ঠিকাদারের গড়িমসি আর অবহেলার কারণে খুলনার পাইকগাছায় জনগুরুত্বপূর্ণ বোয়ালিয়া ব্রিজ রোড নির্দিষ্ট সময় শেষ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও রাস্তার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ইটের খোয়া রোলার দিয়ে রাখা বছর পার হলেও পিচের কাজ কাজ করতে টিকাদার তালবাহানা করছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের খোয়া উঠে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়। আর রোদ্রে ধুলাবালীতে একাকার। পথচারি ও সকল যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। এতে করে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়াছে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ করছে স্থানীয়রা। তাছাড়া জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি কাজ না করে ফেলে রাখায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বোয়ালিয়া ব্রিজ রোড। পাইকগাছা সদর থেকে রাড়ুলী, বাঁকা বাজার আশাশুনির দরগাহপুর ও সাতক্ষীরার সদরে যাওয়ার সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ পথে প্রতিদিন সহ¯্রাধিক মটরসাইকেল, ভ্যান, শত শত হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। প্রধান সড়কের বোয়ালিয়া মোড়ে অর্ধশতাধীক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, তিনটি অটোরাইস মিল, তেলের মিল এবং বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামার ও হ্যাচারী এ সড়কের পাশেই অবস্থিত। সরকারী বীজ উৎপাদন খামারে যাওয়ার একমাত্র পথ এটি। এ কারণে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। বোয়ালিয়া মোড়ের মুদি ব্যবসায়ী আমিরুল, রামকৃষ্ণ প্রহ্লাদ সাধু বলেন, বছরের পর বছর রাস্তার কাজ না করে ফেলে রাখায় চলাচলের অসুবিধা ও ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। পুরাইকাঠি গ্রামের মফেজ গাজী বলনে, বোয়ালিয়া মোড় থেকে ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা পাকা না করায় সড়কে চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২.৩ কিলো মিটার বোয়ালিয়া সড়কটি নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে। এফটিএ- বিবিজেভি জয়েন্ট ভেনসার নামে প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। ঠিকাদার ডুমুরিয়ার বাবলু রহমান। তবে কাজ করছে স্থানীয় ঠিকাদার মিরাজুল ইসলাম। রাস্তা পাঁকা না করার ফলে সরকরী বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের বীজ, বিভিন্ন মালামাল ও খামারের কৃষি কাজের ব্যবহৃত ট্র্যাকটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আনা নেয়ায় মারত্বক অসুবিধা হচ্ছে। এর ফলে চাষাবাদের প্রভাব পড়ছে। খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. হারুন বলেন, সড়কটি দ্রুত নির্মাণ হলে খামারের সরবরাহ ব্যাবস্থা স্বাভাবিক হবে। ঠিকাদার মিরাজুল ইসলাম বলেন, পাথর ও পিচের দাম অনেক বেড়ে গেছে। কাজ শেষ করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, দাম বেড়ে যাওয়ায় একটু দেরি হচ্ছে। তবে খুব তাঁড়াতাঁড়ি রাস্তার কাজ শেষ করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান খান বলেন, সড়কের কাজ শেষ করার মেয়াদ ছিলো ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। তবে ২০২২সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সড়কটির নির্মাণ কাজ যাহাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় তার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। এর মধ্যে কাজ শেষ না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।