এ কেমন শত্রুতা! ঈদুর মারার জন্য দেওয়া বিদ্যুতের সংযোগে এক কৃষককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মো. জাহিদ মল্লিক (৪১) নামের ওই কৃষককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, রামপাল উপজেলাধীন ৩নং বাইনতলা ইউনিয়নের বারইপাড়া মৌজায় কাটির চক নামক বিলের ধানখেত ও মৎস্য ঘেরে কৃষক জাহিদ মল্লিকের জমি একই এলাকার নজরুল শেখের কাছে বর্গা দিয়ে ধান চাষ করায়। ওই জমির ধান ক্ষেতে ঈদুর মারার জন্য বিদ্যুতের সংযোগের মাধ্যমে বিশেষ ধরণের ইষ্টিলের তার দিয়ে ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছে। তবে বর্গাকৃত নজরুলকে জমির মালিক জাহিদ মল্লিক বিশেষ করে দিনের বেলা বিদ্যুতের সংযোগ দিতে নিষেধ করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি সে। ঠিকই বর্গাদার নজরুল ঈদুর মারার জন্য খামখেয়ালিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় গত ৭ মার্চ সোমবার বেলা ২ টায় কৃষক জাহিদ মল্লিক তার নিজের ঘেরে চুন দেওয়ার জন্য ওই জমির বেড়ি বাঁধের গা ঘেঁষে নামার সময় বিদ্যুৎ স্পষ্ট হন। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ওই দিন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পিতা বাগেরহাট জজকোর্টের আইনজীবী সহকারী আবদুল জব্বার মল্লিক রামপাল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে প্রথমে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেয় এবং পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানায় পুলিশ। কৃষক জাহিদ মল্লিক বলেন, আমার বড় চাচা আবদুল ছত্তার মল্লিক আমার জমি বর্গাদার নজরুল শেখকে দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু আল্লাহ’র অশেষ রহমতে আমি প্রাণে বেঁচে যায়। আমার এই চাচার সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে বিরোধ রয়েছে। যার কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। কৃষক জাহিদের পিতা আবদুল জব্বার মল্লিক বলেন, আমার বড় ভাই আবদুল ছত্তার মল্লিকের সাথে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে কলহ-বিবাদ চলে আসছে। তারা পরিকল্পিতভাবে দিনের বেলা বিদ্যুৎ সংযোগ চালু রেখে আমার ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এর আগে জাহিদের চাচা ছত্তার মল্লিকের বিরুদ্ধে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগে বাগেরহাট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা রয়েছে। জাহিদ মল্লিকের মা রওশনারা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দাখিল করেন, নং, পি ৩১/২১। বর্তমানে মামলাটি বাগেরহাট পিবিআইয়ে তদন্তধীন রয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।