ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বড় শিমলা গ্রামে কুপিয়ে হযরত আলী নামে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতির হাতের কব্জি কাটার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় শনিবার বিকেলে মামলাটি দায়ের করেন হযরত আলীর ভাই ইউনুস আলী। এ ঘটনায় প্রধান আসমিসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- বড় শিমলা গ্রামের মৃত আমির গাজীর ছেলে আসাদুল ওরফে আশা গাজী (৪৫), মৃত মইজ উদ্দিনের ছেলে সোহাগ হোসেন (৩৫) ও মৃত শুকুর আলীর ছেলে সেলিম হোসেন (৪৫)।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মতলেবুর রহমান জানান, যুবলীগ নেতার হাতের কব্জি কাটার ঘটনায় ইউনুস আলী ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপরই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বড় শিমলা গ্রামে কুপিয়ে হযরত আলী নামে এক যুবলীগ নেতার হাতের কব্জি কেটে ফেলে প্রতিপক্ষরা। এ সময় আরও তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এরপর হযরত আলীসহ তিনজনকে যশোরে রেফার্ড করা হয়। এরমধ্যে শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হযরত আলীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। বাকি দুইজন যশোরে চিকিৎসাধীন ও একজন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।