চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় পেপেঁর চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে অনেক কৃষক। এই পেপেঁ গুনগতমান ও সু-স্বাদু ফল এবং সবজি হিসাবে গ্রাম-বাংলার ঘরে ঘরে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অর্থকরি ফসল হিসাবে বর্তমানে চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর ,ধোপাছড়ি পাহাড় এবং সমতল ভূমি ছাড়াও বাড়ির আঙিনা কিংবা পুকুর পাড়ে প্রচুর পেপেঁ বাগান রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত পেপেঁ পরিবারের চাহিদা মিঠিয়ে দেশের বিভিন্নঞ্চলে সরবরাহ করে অর্থ উপার্জন করার মাধ্যমে অনেক কৃষক স্বাবলম্বি হয়ে উঠেছে। দোয়াঁশ মাটির কারণে বর্ষা কিংবা গ্রীষ্ম কালেও পেপেঁর চাষাবাদ করা যায় বলে সারা মাসই পেপেঁ বাজারে পাওয়া যায়। বর্তমানে দেশে অধিকাংশ মানুষ পুষ্টির অভাবে ভোগছেন। তাই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মতে এ অভাব পূরণে শাক-সবজি ও ফল মূলের উপর মানুষ এখন নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ পেপেঁর চাষাবাদ করে কম খরচে অধিকতর লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা পেপেঁর চাষের দিকে ঝুকে পড়েছে। উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের পেপেঁ চাষী আয়ুব আলী জানান,এখানকার উৎপাদিত পেপেঁ একটি অর্থকরি ফসল। প্রয়োজনে আর্থিক সহযোগিতা এবং উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশে অর্থনৈতিক চাঁকা ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করেন কৃষকরা।
চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতিরানী সরকার জানান,চন্দনাইশে ছোট বড় প্রায় ৭০টি পেপেঁ বাগান রয়েছে। এসব বাগান মালিকদেরকে অধিকতর ফলনে মাঠ পর্যায়ে উদ্ভুদ্বকরনসহ নানা পরামর্শ দেওয়া হয় থাকে।