গাজীপুরের টঙ্গী গাজীপুরা বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে ছামিরন নেছা (২৬) নামে এক পোশাককর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পশ্চিম থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই এলাকার আলী আকবর মিয়ার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়। তিনি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার সন্ন্যাষী ভিটা গ্রামের ছামিদুল হকের মেয়ে এবং গাজীপুরা স্যার্টাণ টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী ফজলুর রহমান ফরহাদ পলাতক রয়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, ছামিরন নেছা তার স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত আলী আকবরের ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। সাংসারিক খুঁটিনাটি বিষয়াদি নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটির দিন থাকায় প্রতিবেশীরা কেউ কারো খোঁজ না নিলেও দুপুরের দিকে ছামিরুনের ঘরের দরজা বাহির থেকে ছিটকানি আটকানো দেখতে পায়। একপর্যায়ে তারা তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে পশ্চিম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ বিকেল ৫টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের গলায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা ছামিরনকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা পর স্বামী পালিয়েছে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছামিরনকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। নিহতের স্বামীকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।