মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর প্রধান সড়কে মতলব এলাকার সোলায়মান লেংটা মাজার যাওয়াকে কেন্দ্র করে মানুষের ঢল।
দেখা যায় ভবেরচর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে সড়কের ওপর সিএনজি ও অটোরিকশার স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এসব স্ট্যান্ডের কারণে এলাকার মানুষ ও যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
বুধবার সকালে সরজমিন দেখা যায়
গজারিয়া উপজেলার প্রধান সড়ক ভবেরচর-গজারিয়া সড়কের ভবেরচর পুলিশ ফাঁড়ী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ভবেরচর বাজার ও কালীতলা এলাকায় সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজি ও অটোরিকশার দীর্ঘ লাইন। সিএনজি ও অটোরিকশাগুলো ঘোরানোর সময় লেগে যায় যানজট। ফলে রুগীবাহী ও জরুরি পন্যবাহী গাড়িসহ চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী লোকজনকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, বছর খানেক ধরে এখানে সিএনজি ও অটোরিকশা গুলে ব্যাপক ভাবে চলাচল করছে। এর আগে দুয়েকটা চলাচল করলেও তেমন জনদুর্ভোগ হতো না। কিন্তু এখন চলাচল করাই দুরূহ হয়ে পড়েছে।
এ সড়ক ব্যবহারকারী বেশ কয়েকজন যাত্রী ও পথচারী বলেন, গাড়ীতে ভবেরচর বাজার পার হতে প্রায় আধাঘন্টা অতিরিক্ত সময় লাগে। সবসময় লেগে থাকে যানজট। সড়কের উপর অবৈধ স্ট্যান্ড ও ফুটপাতে দখল করে দোকান বসানোর ফলে গাড়ীর চাপের সাথে যানজটের দৈর্ঘ্যও বাড়তে থাকে।
নাম প্রকাশ না করে ভবেরচর বাজারের ব্যবসায়ী এক নেতা বলেন, ভবেরচর বাজারে এখন সিএনজি ও অটোরিকশা দখল করে নিয়েছে। আর ফুটপাতেরও একই অবস্থা। দোকান বসাতে বসাতে তারা এখন রাস্তায় নেমে পড়েছে। তাছাড়া ভাসমান দোকান বসিয়ে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশদ্বার অবরুদ্ধ করে রাখে। দোকানের সামনে গাড়ী রাখতে নিষেধ করলে চালকরা খারাপ আচরণ করে। এতে কেনাবেচা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা সিএনজি ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড ও
যানজট নিরসনে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।