আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে ভাড়া বৃদ্ধির আশ্বাস প্রদানে রূপসা ঘাট মাঝিদের অর্ধ বেলা কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে মাঝি সংঘের নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীন বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, আবদুল মজিদ ফকির, নৈহাটী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল, মাঝি সংঘের সভাপতি মো. রেজা মাহমুদ ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন ব্যাপারী। প্রসঙ্গত, রূপসা ঘাটে ট্রলারে যাত্রী পারাপারের ভাড়া তিন টাকার পরিবর্তে পাঁচ টাকা ধার্য করার দাবিতে ২ এপ্রিল অর্ধদিবস কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছে ঘাট মাঝিরা। দাবি না মানলে পরবর্তীতে আরো বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে মাঝি সংঘের নেতৃবৃন্দ। ইতোমধ্যে তাদের এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক, রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও খুলনা মহানগরীর ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই আবেদনে বলা হয়, বর্তমানে দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার মান বাড়ার কারণে ৫/৭ বার জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করলেও তারা কোন ভাড়া বৃদ্ধি করতে পারেনি। জ¦ালানি নির্ভর ইঞ্জিন চালিত নৌকা চালিয়ে ১৭৫ জন মাঝি সদস্য পরিবার-পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে একদিন পর একদিন সিএফটি চালিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছে। হঠাৎ সরকার জ¦ালানি তেলের দাম আরো এক দফা বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ৮৪ টাকা হওয়ায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা চালানো দূরহ হয়ে পড়েছে।