নওগাঁর মান্দায় কালবৈশাখীর তান্ডবে মৌসুমে ফল আম, লিচু, সবজি সজনেডাটা, কলা ও ভুট্টার খেতসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য গাছপালা। উড়ে গেছে আধাপাকা ও কাঁচা বাড়িঘরের টিনের ছাউনি। ঝড়ের সঙ্গে হঠাৎ বৃষ্টিতে আবারও ক্ষতির মুখে পড়েছেন ভাঁটা মালিকেরা।
গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে কালবৈশাখীর তান্ডব শুরু হয়। পশ্চিম-দক্ষিণ কোণ থেকে ধেয়ে আসা ঝড়টি উপজেলার তেঁতুলিয়া, ভারশোঁ, কুসুম্বা, মান্দা, নুরুল্লাবাদ, প্রসাদপুর, কশব ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এটি প্রায় ২৫ মিনিট স্থায়ী ছিল। ঝড়ের তান্ডবে কলাবাগান ও ভুট্টারখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়ে ক্ষতি হয়েছে মৌসুমী সবজি সজনেডাটার।
কামারকুড়ি গ্রামের কৃষক আবদুস সবুর বলেন, রোববার রাতের ঝড়ে তাঁর ১০ কাঠা জমিতে থাকা কলাবাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমির ৯০ ভাগ গাছ ভেঙে গেছে। অল্পদিনেই এস গাছে ফল আসত। ঝড়ে অন্তত ৫০ হাজার টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি।
উপজেলার শংকরপুর গ্রামের কৃষক দীলিপ কুমার বলেন, গতরাতের ঝড়ে গ্রামের মাঠে আগাম জাতের বোরো ধান মাটিতে পড়ে গেছে। সবে ধানগাছে শীষ বের হয়েছে। এখনও পাকতে অনেক দেরি। এ অবস্থায় মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইটভাটা মালিক আলহাজ¦ খলিলুর রহমান বলেন, গতরাতের বৃষ্টিতে ভাটার খলিয়ানে থাকা কাঁচা ইটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে ভাটামালিকেরা আবারও ক্ষতির মুখে পড়বেন।
প্রসাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন বলেন, ঝড়ে তাঁর ইউনিয়নে কলাবাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি আমসহ অন্য ফসলও ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া কিছু বসতবাড়ির টিনের উড়ে গেছে।