বরগুনায় ''স্মার্ট ইলেকট্রনিক্স গ্যালারী' নামে একটি প্রতিষ্ঠান নামে প্রতিনিয়ত লটারি নামে নিম্নমানের পন্য সামগ্রী বিক্রি করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে এক চক্র।
গত শুক্রবার (৩০ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের নতুন বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশে আঃ রশিদ এর বাসা ভাড়া নিয়ে এই সমস্ত প্রতারণার কার্যক্রম করছেন প্রতারণা চক্র মোঃ আরিফুল ইসলাম সহ ৮/১০ জন কর্মীরা। তারা বরিশাল কাউনিয়া থানার বাসিন্দা।
তারা ৮.৫ সেফট্রি ফ্রিজ, অটো সিঙ্গেল গ্যাসের চুলা+৭পিচ সুপ সেট+চা ফ্লাক্স, ২৭পিচ ডিনার সেট, অটো ডাবল গ্যাসের চুলা, ২৪" ইঞ্চি এলইডি টিভি, ২২লিটার ফিল্টার +৭পিচ সুপ সেট +প্রিন্টার ফ্লাক্স, বাটন মোবাইল +আয়রন, বেবী সাইকেল, ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন, ২২ লিটার ফিল্টার +হাইস্পিড ফ্যান +প্রিন্টার ফ্লাক্স, ১.৫লিটার রাইস কুকার+ পানির পট, অটো সিঙ্গেল গ্যাসের চুলা+চামচ সেট+ফ্লাক্স, ৪আনি স্বর্নের কানের দুল, ৫.৫লিটার প্রেসার কুকার+ ফ্লাক্স, সাউন্ড স্পিকার, হাফ ঘোরা পানির মটরসহ বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের পন্য সামগ্রিই দিয়েই চালাচ্ছে প্রতারণার বানিজ্য। তাদের থেকে ভাউচার, ট্রেড লাইসেন্স ও ইনকাম ট্যাক্স (টিন) সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে তারা দেখাতেও ব্যার্থ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা, টিপু, নান্টুসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক মানুষ বলেন, গ্রাম অঞ্চলে গিয়ে ১০০ টাকা লটারি টিকিট বিক্রি করছে। টিকিট ঘসে যে পন্য পায় তা ১৬০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। ব্যান্ডের পন্য না দিয়ে কমদামি নিম্নমানের পন্য জনসাধারণ কে দিচ্ছে তারা। কিছু দিন পরেই সেই পন্যগুলো ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়। অনেকে পন্য ছাড়াতে এসে কম দামের হওয়ায় রেগে গিয়ে পন্য সামগ্রী না নিয়ে চলে যায়! ফলে পন্য টা তাদের অফিসে থেকে যায়! অপর দিকে ভুক্তভোগীর টিকিট ও আসা-যাওয়ার টাকাটা পকেট থেকে ফাঁকা হয়ে যায়! এতে সাধারণ মানুষ ঠকছে। এভাবেই তারা নগদ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
''স্মার্ট ইলেকট্রনিক্স গ্যালারী'র মোঃ আরিফুল ইসলাম কে মুঠোফোনে জনসাধারণের প্রতারণা ও নিম্নমানের পন্য সামগ্রিইর বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি প্রতারণা করছি না! আমার কাছে সরকারি সকল অনুমতি আছে, সেই অনুমতি নিয়ে এ ব্যাবসা করতেছি। এবং আমি সবাইকে ভালোমানের পন্য সামগ্রিই দিচ্ছি।
ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক বিপুল চন্দ্র বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবো তারা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এ ব্যাবসা করছে কিনা। এবং আমাদের ভোক্তা অধিকারের আওতায় আছে কি না। যদি না থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনত ব্যবস্থা নিব।