সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের পানির চাপে একের পর এক বাঁধ ভেঙে গেছে। পাহাড়ি ঢলে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাঁধ পানিতে না ভাঙলে মানুষে ভাঙতো। বাঁধগুলো স্থায়ী নয়, এগুলো সাময়িক সময়ের জন্য নির্মিত। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি সুনামগঞ্জ হাওরের ছেলে। আমার শরীরে এখনো হাওরের পানির ছাপ লেগে আছে। আমি এখনো সময় পেলে হাওরের পানিতে নেমে পড়ি। পানি দেখলে মন উচ্ছ্বসিত হয়। মন্ত্রী বলেন, নিজের থেকে বলছি, বর্তমানে সরকার জনগণের। এখনকার সরকার জনগণের ওপর নির্ভরশীল। তাই বাঁধ ভাঙলেই সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। বাঁধ পানিতে না ভাঙলে মানুষে ভাঙতো। বাঁধ স্থায়ী নয়। অনেক সময় প্রকৃতির সঙ্গে হিসাব করে আমাদের চলতে হয়। আমি সকালে সুনামগঞ্জের ডিসির সঙ্গে কথা বলেছি। বাঁধের খবর নিয়েছি। এম এ মান্নান বলেন, সব থেকে বড় ক্ষতি কৃষক তাড়াহুড়া করে কাঁচা ধান কাটছে। ফলে ২০ মণের স্থলে ১২ মণ ফলন হচ্ছে। এটাই সব থেকে বড় ক্ষতি। কৃষি মেলা দেখতে ১৫০ কর্মকর্তার নেদারল্যান্ডস ভ্রমণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডসে হর্টিকালচার মেলা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো বিশাল মেলা, বাংলাদেশের অনেক কিছু উপস্থাপনা করা হবে। তবে প্রস্তাবনা হাতে এলে বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো। ঈদ সামনে রেখে সড়কে জটলা হবে। এ সময় উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় আবহমানকাল থেকেই পথে ভিড় হচ্ছে। আগে এত ব্রিজ ছিল না। এত বেশি গাড়ি-ঘোড়াও ছিল না। জটলা ও সড়কে গাড়ি-ঘোড়া উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধি প্রকাশ পাচ্ছে, মানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। খাবারের দোকানে মানুষের ভিড়, ঈদ বাজারে মানুষের ভিড় মানেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।