গত ১৭ এপ্রিল রাত ১১টায় যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদন এনঅইডি, আরকত গলদ ‘শিরোনামে’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনটিতে চিতলমারী সরকারী বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো: বাবুল মিঞাকে জড়িয়ে যে সংবাদটি প্রকাশ হয়েছে সেটি অধ্যক্ষ মো: বাবুল মিঞার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদপত্র সহ বিভিন্ন মাধ্যমে নি¤œরুপ মন্তব্য তুলে ধরেছেন। অধ্যক্ষ মো: বাবুল মিয়া তার মন্তব্যে জানান, ৭ নং চিতলমারী আড়-য়াবর্ণি মৌজার এসএ ১২ নং খতিয়ানের ১৮৩ দাগে ১১/১১/১৯৯৫ সালে সরকারী বঙ্গবন্ধ মহিলা কলেজ চিতলমারী,বাগেরহাট (সাবেক চিতলমারী মহিলা মহাবিদ্যালয়) এর নামে নুর মিয়াশেখ ও শাহাবুদ্দিন শেখ এর নিকট থেকে ৬৮ শতক জমি খরিদ করা হয়। যাহার দলিল নং- ২৯০৪। এবং ১৯/০১/১৯৯৮ তারিখ ওই তফসীলের ১৮৩ দাগ হতে অধ্যক্ষ মোঃ বাবুল মিঞার নিজ নামে ১৩ শতক জমি নরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের নিকট থেকে খরিদ করে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখল করে আসছেন। এ অবস্থায় বিগত ১৪/০৩/২০১৭ সালে হঠাৎ করে ফনিভুষন ওরফে মনি মন্ডল ( ভোটার আইডি নং- ১৯৪৮০১২০৮০৩০০০০০১ ) তিনি কলেজে এসে জানান যে, তিনি দূর্গ চরণের ওয়ারেশ হইতেছেন এবং এসএ ১২ ও ১৪ খতিয়ান আড়-য়াবর্ণি ৭নং মৌজার বৈধ জমির মালিক তিনি। এ সময় তার জন্ম সনদ, ভোটার আইডি কার্ড, জমির পীট দলিল, পর্চা, ওয়ারেশ কায়েম সনদ, দাখিলা সহ যাবতীয় কাগজ দেখিয়ে বলেন, আমাকে দিয়ে ওই জমির একটা বায়না চুক্তি করে রাখেন। পরে যখন দলিল হবে তখন টাকা পরিশোধ করলে হবে। এ সময় অধ্যক্ষ বাবুল মিঞা কাগজপত্র দেখে সঠিক মনে হলে তিনি সরল বিশ্বাসে ১৬/০৩/২০১৭ তারিখ চিতলমারী সাব-রেজিস্ট্রী অফিস থেকে ৬৫ শতক জমির বায়না চুক্তি সম্পাদন করা হয় চুক্তি মেয়াদ ছিলো ১৫/০৯/২০১৭ তারিখ পর্যন্ত। এরপর তিনি কাগজপত্র তল্লাশি করে অবগত হন যে, ঐ জমি তিনি নুরু মিয়া শেখ, শাহাবুদ্দিন শেখ ও নরেন্দ্রনাথের নিকট থেকে কলেজের নামে এবং ব্যক্তিগত নামে আগেই কবলা মূলে খরিদ করেছেন ; যাহার কাগজপত্র স্বঠিক আছে। পুনরায় দলিল নেওয়ার কোন প্রয়োজন নাই বলে তিনি মনে করেন। ফলে ১৫/০৯/২০১৭ তারিখের মধ্যে ওই জমি রেজিস্ট্রি কবলা করার চুক্তির সময় নির্ধারিত থাকলেও অধ্যক্ষ মো: বাবুল মিয়া ঐ জমি ফনি ভুষনের কাছ থেকে আদৌ রেজিস্ট্রি কবলা করেন নি। সে কারণে ওই চুক্তিনামা বাতিল হয়ে যায়। কিছু স্বার্থন্বেসী মহল প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যও কাল্পনিক তথ্য প্রদান করে এ সংবাদটি প্রকাশ করেছে বলে তিনি মনে করেন।