বাবা মারা গেছেন। মা থেকেও নেই, অন্যের ঘরের বউ। শিশু সোয়াদরা তিন ভাই বোন। ঠাঁয় হয়েছে নানার বাড়িতে। মাঝে মাঝে আসা হয় দাদার বাড়িতেও। তবে আর্থিক সংকটে তাঁদের বেঁচে থাকা দায়। তাদের নিয়ে চিন্তা দুই পরিবারেই।
সোয়াদদের পাশে দাঁড়িয়েছে তার বাবার বন্ধুরা। সোয়াদের বাবা ১৯৯২ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই সালের পরীক্ষার্থী বন্ধুরা উদ্যোগ নিয়ে সোয়াদের হাতে তুলে দিয়েছে এক লাখ টাকার চেক, যেটা ব্যাঙ্কে ডিপোজিট হিসেবে থাকবে।
সোয়াদদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামে। তাদের বাবা ইয়াছিন মিয়া পিন্টু প্রবাসী ছিলেন। কিছুদিন আগে মারা যাওয়ার খরবটা পান ইয়াছিনের বন্ধু অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। এরপরই ইয়াছিনের সন্তানদের কথা চিন্তা করে তাদের পাশে থাকার উদ্যোগ নেন।
শনিবার সকালে সোয়াদের হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। এ সময় গোপীনাথপুর আলহাজ শাহ আলম ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক হাফিজুর রহমান ছাড়াও কলেজ শিক্ষক জাবেদ আহম্মেদ খান, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. সাজ্জাদ হোসেন, আমোদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নার্গিস আক্তার, নান্টু মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।