'আব্দুল হান্নান স্যারকে আমরা অনুষ্ঠানস্থলের দিকে আসতে দেখতে পাচ্ছি'- মঞ্চের মাইকে এমন ঘোষণার পর অনেকে উঠে দাঁড়ালেন। ছুটে গেলেন কেউ কেউ। সালাম জানিয়ে, হাত মিলিয়ে ওই শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হলো। ছবি তুলতেও ভুল করেননি তারা। নাসিম খান নামে এক শিক্ষার্থী ওই শিক্ষককে মঞ্চ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শনিবার সকালে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়। ওই বিদ্যালয়ের ১৯৮৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের আয়োজনে 'স্ব-পরিবারে সহপাঠিদের পুনর্মিলনী' অনুষ্ঠানে ওই সময়কার শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। ১৯৮৮ সালের পর সবাই একসঙ্গে হতে পেরেও শিক্ষার্থীরা আপ্লুত হয়ে পড়েন। ছবি তোলা, আড্ডা দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেওয়াসহ নানাভাবে সময় কাটান ওই সময়ের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের পাঁচ শতাধিক সদস্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বাসুদেব বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া রাসেল। অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া স্বপনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম কামাল উদ্দিন, প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মহিউদ্দিন ভূঁইয়া মুক্তা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির, গোলাম সামদানী, আইনুন নাহার, আলী আরশাদ,
শাহবুল হোসেন, আবুল হোসেন, ফেরদৌসি বেগম, বদরুল আলম, মো. আলী জিন্নাহ, জিল্লুর রহমান, বেলি রানী গোপ, হোসনা আকাতার, নাজমা বেগম, আবু আহম্মদে শিপন, তারিকুল হাসান প্রমুখ। উপস্থিতিদের পাশাপাশি ইতালি প্রবাসী আনোয়ার হোসেন, নরওয়ে প্রবাসী মো. বাদল ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে ১৯৮৮ ব্যাচের ছাত্র মো. সালাউদ্দিন খোকন বলেন, 'এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে আমাদের সকলের মাঝে যোগাযোগ বেড়েছে। নতুন একটা দিগন্তের সূচনা হলো।'
অনুষ্ঠানে আসা আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল বলেন, 'বাসুদেব আমাদের পৈতৃক এলাকা। এখানকার মানুষের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। আমি অন্য বিদ্যালয়ের ১৯৮৮ ব্যাচের ছাত্র হলেও অনেকের সঙ্গে দেখা হওয়ার আশা থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি।'