সড়ক দুর্ঘটনায় শেষ হলো ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার এন্ড্রু সাইমন্ডসের জীবন। ক্রিকেট মাঠে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই তার জুড়ি মেলা ছিল ভার। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বোলারদের মনে ত্রাস সৃষ্টি করতেন। সেইসঙ্গে জন্ম দিতেন নানা বিতর্কের। মাতাল হয়ে মাঠে আসা, টিম মিটিং বাদ দিয়ে মাছ ধরতে যাওয়ার মতো কাণ্ড করে বারবার শাস্তি পেয়েছেন। ক্যারিয়ার থেমেছে কম সময়ে। সেই সাইমন্ডসের অকাল প্রায়াণে আজ কাঁদছে ক্রিকেটবিশ্ব। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে দীর্ঘদিনের সতীর্থ-বন্ধু সাইমন্ডসকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেছেন, 'সে ছিল প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা এক মানুষ। সবাইকে আনন্দ দিতে পারত। খেলাটির প্রতি সাইমোর আবেগ ছিল খাঁটি। তার কাছে বিষয়টি ছিল খুব সহজ। তার কাছে খেলা মানে উপভোগ এবং কঠোর পরিশ্রম। তারপর জয়-পরাজয়-ড্র যাই হোক না কেন সমস্যা নেই। 'পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৩ বিশ্বকাপে সাইমন্ডসের ১২৫ বলে ১৪৩ রানের অসাধারণ ইনিংসটির কথা স্মরণ করে গিলক্রিস্ট বলেন, 'আমরা খুব বিপদে পড়েছিলাম। ৮০ বা এমন কিছু রানে আমরা ৪ উইকেট হারানোর পর রয় উইকেটে যায় এবং দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে আমাদের উদ্ধার করে। সেটা ছিল বিশ্বকাপে আমাদের অপরাজেয় পথচলার শুরু। রয়ের ওই ইনিংসটি ছাড়া ওই ম্যাচে আমাদের কী হতো কে জানত! সে সুরটা বেঁধে দিয়েছিল। '