পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মামলার জেরে জাহিরুল ইসলাম (৩৫) জাহিদুল ইসলাম (২৮) দুই সহোদরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বীপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত দুই সহোদর বর্তমানে বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বীপাশা গ্রামে ২০২১ সালে ডিসেম্বরে জহিরুলের মা বিউটি বেগমের (৫৫) সঙ্গে প্রতিবেশি নুরুল হক সিকদারদের জমিজমা নিয়ে মারামারি হয়। পরে বিউটি বেগম শ্লিতাহানীর অভিযোগ এনে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় চার্যশীট ভুক্ত আসামি নুরুলহক সিকাদের ছেলে ১নং আসামি রাকীব ও ২নং আসামি সজিব গত মঙ্গলবার আদালতে হাজির বলে বিজ্ঞ আদালত রাকীবকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই দিনই মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আসামি সজিব ও তার দলবল নিয়ে এলাকায় এসে জাহিরুল ইসলাম (৩৫) জাহিদুল ইসলাম (২৮) কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পড়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাম্মী আক্তার তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদী বিউটি বেগম বলেন, মামলায় ১নং আসামি রাকিবকে আদালত কারাগারে পাঠালে অপর আসামি সজিব ক্ষুদ্ধ হয়ে আমার সন্তানদের খুন করার জন্য এ হামলা করেন।
ঘটনার অভিযোগ অস্বিকার করে নুরুল হক সিকদার বলেন, আমার ছেলে লিকয়াকতকে তারা দুই ভাই কোন কারণ ছাড়াই কুপিয়ে হত্যা করতে চেয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনা জেনে সার্বিক খোঁজ খবর নিয়েছি।