মানবতার জীবন যাপন করছেন নরসুন্দর
ফকির মাহমুদ। শেরপুর সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া গ্রামের
বাসিন্দা মো.ফকির মাহমুদ (৫৫) এক ছেলে এক মেয়ে এই নিয়েই ছিলো ফকির
মাহমুদের সংসার। ছেলে ও মেয়ে বড় হয়ে যার যার সংসার করে পাড়িদেয় ঢাকা শহরে।
অভাবের তাড়নায় দু'মোঠো ভাত যোগারের জন্য ফকির মাহমুদ ও তার স্ত্রীসহ চলে
যায় ঢাকায় কাজের সন্ধানে। সেখানে গিয়েও নরসুন্দর পেশা শুরু করেন। ঢাকা
শহরের ফুটপাতে বসে এক যুগ কাটান তিনি।বয়সের বাড়ে
ঢাকা শহর থেকে চলে আসেন নিজ এলাকা শেরপুরের সদর উপজেলার পাকুড়িয়া
ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া গ্রামে। এখানে এসেও জীবন বাচার স্বার্থে বয়োবৃদ্ধ এ
মানুষটি পুরো গ্রাম জুড়ে চালিয়ে যাচ্ছেন নরসুন্দর পেশা।
আধুনিক যুগে অনেকেই তারে দিয়ে কাজ না করালেও গ্রামের হতদরিদ্র মানুষেরা
নুরসন্দর ফকির মাহমুদ(৫৫) কেই খুঁজে বেড়ায়। কারণ শহরে হেয়ার কাটিং নামীয়
সেলুনে বসলেই গুনতে হয় একশত থেকে দুইশত টাকা
পর্যন্ত কোন কোন ক্ষেত্রে গুনতে হয় পাঁচশত টাকা পর্যন্ত। কিন্তু নরসুন্দর
ফকির মাহমুদ বাড়ি বাড়ি গিয়ে একখানা ইটের মধ্যে বসিয়েই তার সকল কাজ সেরে
দেন।তাকে দিতে হয় মাত্র দশ থেকে বিশ টাকা।এভাবেই সকাল থেকে
সন্ধ্যা পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়িয়ে একশ টাকা থেকে দুইশ টাকা পর্যন্ত রোজগার
করে দিন চলে তার।
আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তার নিজ গ্রামেই একটি হেয়ার
কাটিং সেলুন খোলার জন্য দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা থাকলেও আর্থিক সংকটের
কারণে তা দুই যুগেও সম্বভ হয়নি।
ফকির মাহমুদ বলেন,বর্তমান সরকার অসহায় মানুষের মাঝে ঘর বিতরন করলেও আমার
ভাগ্যে জুটেনি একখানা ঘর আমি প্রধানমন্ত্রী কাছে একটি ঘরের জন্য আবেদন
জানাচ্ছি। এ বিষয়ে স্থানীয় এক শিক্ষক,মো.সাদ্দাম হোসাইন বলেন,ফকির কাকা এই
বৃদ্ধ বয়সেও মানুষের বাড়ি গিয়ে নরসুন্দরের কাজ করেন। তার নিজস্ব কোনো
জায়গা জমি নেই। অন্যের একখন্ড জমির উপর একটি দু'চালা ঘর তুলে বসবাস করেন
তবে সমাজের বৃত্তবান মানুষেরা সাহায্যের হাত বাড়ালেই একটা হেয়ার কাটিং
সেলুনের ব্যবস্থা করা যেতো। অন্ততপক্ষে বৃদ্ধ বয়সে একটা সেলুনে দাড়িয়ে
শান্তি মত কাজ করতে পারতেন।