নীলফামারীর সৈয়দপুরে ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। ৩০ মে এ অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আর দুইটির কোন ধরনের কাগজপত্র না থাকলে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।
শহীদ তুলশীরাম সড়কে গ্রীন লাইফ ক্লিনিক এ- ডায়াগনোসিস এর ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ থাকায় এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমানের ১০ হাজার টাকা একই সড়কস্থ পৌরসভা সংলগ্ন নিউ এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিকের রেজিষ্টারে রোগীর রেফার করা চিকিৎসকদের কমিশন প্রদানের বিষয় উল্লেখ থাকায় পরিচালক লিটু রায়ের ২ হাজার টাকা এবং নতুন বাবুপাড়ার কলিম মোড় এলাকার জনতা ল্যাবের লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় পরিচালক আবু তালেবের ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অন্যদিকে শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কের মডার্ন হোমিও ফার্মেসি সংলগ্ন প্রীন্স ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদ উত্তীর্ণ জেনেটিক্স কিট সামগ্রী পাওয়ার কারণে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হাসান। এর আগে নিবন্ধন না থাকায় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল সংলগ্ন হাসান মাহবুবের মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সীলগালা করা হয়।
এসময় আভিযানিক দলে আরও ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. চন্দ্র রায় ও সহকারী চিকিৎসক ডা. সাবাব আসফাক। তাঁদের সহযোগীতা করেন উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর আলতাফ হোসেন ও উপজেলা ভূমি অফিসের এলএমএসএস আবু সাঈদ।
সৈয়দপুর শহরে প্রায় ৪০ টি ডায়াগনোসিস ও প্যাথলজিকাল সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১০ টিতে অভিযান চালানো হয়। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোতেও অভিযান চালানো হবে এমন কথা বলা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।