এশিয়ান কাপের বাছাই মূল লক্ষ্য হলেও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটি পাচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব। মূল মিশনে নামার আগে এ ম্যাচ দিয়ে হাভিয়ের কাবরেরা দেখে নিতে চাইছেন দলের শক্তি, দুর্বলতা। ঢাকা ও বাংদুংয়ের প্রস্তুতিতে জামাল-জিকোদের যে কৌশল শেখালেন, তারা তা কতটা রপ্ত করতে পেরেছে, মাঠের খেলায় তার প্রমাণও দেখতে চাইছেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ। ইন্দোনেশিয়ার বাংদুংয়ে বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। এরপর কাবরেরার সামনে বাছাইয়ের মিশন, মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে শুরু হবে ৮ জুন থেকে। প্রীতি ম্যাচ ও বাছাই মিলিয়ে চার ম্যাচের জন্য গত ১৭ মে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। চোটের থাবায় এরইমধ্যে নির্ভরযোগ্য সাত খেলোয়াড়কে হারিয়ে নড়বড়ে অবস্থা দলের। ইন্দোনেশিয়া গিয়ে চোট পেয়েছেন সোহেল রানা। এত এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আশা হারাচ্ছেন না কাবরেরা। “চোট সমস্যার সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। এ মুহূর্তে আমাদের দলে আছে ২২ জন খেলোয়াড়, যখন আমরা মালয়েশিয়া যাব, তখন ২৩ জন হবে। তবে দলের সবাই এ ম্যাচের জন্য প্রস্তুত।” “এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, যেটা আমাদেরকে মালয়েশিয়ার বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুত করবে। দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য ম্যাচটি নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর এবং মালয়েশিয়াতে খেলার সুযোগ পাওয়ার সুযোগ।” বর্তমান দলে জামাল ভূইয়া, বিশ্বনাথ ঘোষ, টুটুল হোসেন বাদশা, মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মতো অনেকে দীর্ঘদিন খেলছেন একসঙ্গে, ফলে তাদের মধ্যে বোঝাপড়াও বেশি। ইসা ফয়সাল, মারাজ হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের মতো তরুণরা আছেন দলে। অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলকে শক্তি মানছেন কাবরেরা। “এ ম্যাচের জন্য আমরা অনুশীল করেছি, পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি। এ ম্যাচটি মালয়েশিয়াতে বাহরাইনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য আমাদের প্রস্তুত করবে। কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা এই ম্যাচে প্রভাব রাখতে পারে। দলে কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা এক কোচের অধীনে অনেক দিন কাজ করেছে, আমি মনে করি, এটা আমাদের দলীয় শক্তি।” ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৮তম) চেয়ে এগিয়ে ইন্দোনেশিয়া (১৫৯তম)। দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানও সুখের নয়। ছয় ম্যাচে একটি জয়ের বিপরীতে চার হার। একমাত্র জয়ের গল্পও লেখা সেই ১৯৮৬ বিশ্বকাপের বাছাইয়ে, সেবার ঢাকায় ২-১ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার খেলা ইন্দোনেশিয়ার মাঠে। তাদের দর্শকের সামনে। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামালও প্রতিপক্ষকে এগিয়ে রাখলেন। সংবাদ সম্মেলনে এই মিডফিল্ডার অবশ্য প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানালেন, নিজের দলের ওপর আস্থা রাখার কথাও। “কোচও বলেছেন, আমরা ১২ দিনের বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। দলের সবাই এ ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছে। কঠিন একটা ম্যাচ হবে। ইন্দোনেশিয়া শক্তিশালী দল এবং অবশ্যই জয়ের প্রশ্নে তারা ফেভারিট থাকবে, কিন্তু নিজেদের প্রতি আমাদেরও বিশ্বাস আছে। আমি মনে করি, আমরা তাদের বিপক্ষে লড়াই করতে পারব এবং ভালো পারফরম্যান্স করতে পারব।” “ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি দলের খেলোয়াড়দের জন্য অভিজ্ঞতা হবে। কিছু অর্জন করতে হলে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদেরও মূল লক্ষ্য কঠোর পরিশ্রম করে তা অর্জন করা।