চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বন আইন লংঘন করে ১শ গজের মধ্যে ৪টি স' মিল (করাত কল) গড়ে উঠেছে। উপজেলার ধলই ইউনিয়নের মনিয়া পুকুর উত্তর পার্শ্বে বন আইন লংঘন করে এইসব স' মিল গড়ে উঠেছে। বন বিভাগ বলছে অবৈধ স' মিলে অভিযান করা হবে। তবে কবে এই অভিযান হবে সে ব্যাপারে নিদিষ্ট কিছু বলা হয়নি।
জানা যায়, হাটহাজারী উপজেলার ২ নং ধলই ইউনিয়নের এনায়েতপুর এলাকার মনিয়া পুকুরের উত্তর পার্শ্বে ধলই - গুমানমর্দ্দন সড়ক সংলগ্ন হাটহাজারী - নাজিরহাট মহাসড়কের পাশে ১শ গজের মধ্যে বিগত তিন মাসের মধ্যে ৪ টি স' মিল গড়ে তোলা হয়েছে। বন আইন লংঘন করে এসব স' মিল স্হাপন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত সংবাদ প্রকাশ। ফটিকছড়ির সুয়াবিল এলাকার এক বন কর্মকর্তা হাটহাজারী বন বিভাগে যোগদানের পর উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন স্হানে ৮ টি অবৈধ স' মিল গড়ে উঠার খবর জনশ্রুতি রয়েছে। নতুন ভাবে গড়ে উঠা এসব স' মিল সম্পূর্ণ বন আইন লংঘন করে গড়ে তোলা হয়েছে বলে ও প্রাপ্ত সংবাদ প্রকাশ।
সম্প্রতি হাটহাজারী বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ফজলুল কাদের চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দপ্তর আসলে সেখানে নির্বাহী অফিসার উপস্থিততে গনমাধ্যম কর্মীরা বন আইন লংঘন করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স' মিলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি অবৈধভাবে স' মিল গড়ে উঠার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন অবৈধ এসব স' মিলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হব। কবে অভিযান পরিচালনা করা হবে এমন প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব স' মিলের একাধিক মালিক গণমাধ্যমকে জানান, বন বিভাগের দায়িত্বশীলদের সাথে বুঝাপড়া করে এসব স' মিল গড়ে তোলা হয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন কোন সময় অভিযান করতে আসলে বন বিভাগ মিল মালিককে সর্তক করে দেবে বলে জানান।
স' মিল মালিকদের সাথে বুঝাপড়ার বিষয়টি এই বন কর্মকর্তা অস্বীকার করেন।
হাটহাজারীর বিভিন্ন স্হানে যে হারে স' মিল করার প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে, যদি এভাবে চলতে থাকে পরিবেশ রক্ষা ও বৃক্ষ রোপনের ব্যাপারে প্রধান মন্ত্রীর যে ঘোষণা তা কতটুকু কার্যকর হবে সে ব্যাপারে পর্যবেক্ষক মহল প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তাই জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিজ্ঞমহল।