অভাবনীয় মুদ্রাস্ফীতির মুখে পড়ে সুদের হার বাড়ালো আমেরিকা। ১৯৯৪ সালের পর সুদের হার এতটা বাড়েনি। মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতে গিয়ে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুদের হাড় বাড়ালো মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ। গত বুধবার সুদের হার শূন্য দশমিক ৭৫ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। অ্যামেরিকায় গত ৪০ বছরে মুদ্রাস্ফীতি এতটা বাড়েনি। জিনিসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে।প্রথমে করোনার কারণে সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তারপর এখন রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর জিনিসের দামে লাগাম পরানো সম্ভব হচ্ছে না। কী বলা হচ্ছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারক ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি(এফওএমসি) সুদের হার বাড়ানোর পর মুদ্রাস্ফীতিকে দুই শতাংশে বেঁধে রাখতে বদ্ধপরিকর। মার্কিন সেন্ট্রাল ব্যাংক জানিয়েছে, প্রয়োজনে সুদের হার আরো বাড়ানো হতে পারে। এফওএমসি-র মতে, রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার প্রভাব বিশ্বজুড়ে পড়েছে। এর ফলে সব জায়গায় মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বেড়েছে। চীনে সম্প্রতি বেশ কিছু জায়গায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। এর ফলে সাপ্লাই-চেন আবার বিঘিœত হবে বলে তাদের মত। এরপর কী হতে পারে ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান পাওয়েল স্বীকার করেছেন সুদের হার অস্বাভাবিক বেশি বাড়ানো হয়েছে। এদিকে মার্কিন সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রথমে শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাওয়েল বলেছেন, সুদের হার আরও বাড়তে পারে, তবে এত বেশি নয়। প্রবল মুদ্রাস্ফীতির ফলে মার্কিন পরিবারগুলি প্রবল চাপের মুখে পড়েছে। এর ফলে খাবার, গ্যাস, বাড়িভাড়ার জন্য বেশি খরচ করতে হচ্ছে। ফলে অন্য খরচ কাটছাঁট করতে হচ্ছে।