চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মামা হত্যার প্রধান আসামি সৎ ভাগিনা সাইফুল ইসলাম বাদশা( ৩৫)কে আটক করেছে র্যাব -৭। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মামাকে নৃশংসভাবে খুন করে আটক এই ভাগিনা। র্যাব কর্তৃক আটক বাদশা হাটহাজারী পৌরসভার দেওয়াননগর এলাকার বুলবুলি পাড়ার ফুল মিয়া( আবদুল মালেক) এর পুত্র। গতশনিবার র্যাব-৭ পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব-৭ সুত্রে জানা যায়,নিহত মুছা মিয়া পেশায় একজন সিএনজি চালক ছিলেন। মুছা মিয়া এবং তার সৎ ভাগিনা ধৃত আসামি বাদশার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে বিরোধ চলছিলো। এ-সংক্রান্ত ব্যাপারে মুছা মিয়ার সৎ ভাগিনা একটি মামলা করলে ওই মামলায় মুছা মিয়া ৬ মাসের হাজতবাস করেন। ঘটনার দিন মুছা মিয়া সারাদিন সিএনজি চালিয়ে বাড়ী ফেরার উদ্দেশ্যে তার সৎ ভাগিনা বাদশার বসত ঘরের পাশে চলাচলের রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র আসামি শাহজাহানসহ তার অপরাপর সহযোগী মিলে পরিকল্পিতভাবে দেশীও ধারালো অস্ত্র দা ও কিরিচ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে মারাত্বকভাবে জখম করে, মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় ৬ জন নামীয় এবং ২/৩ জন অজ্ঞাত নামাকে বিবাদী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
র্যাব-৭, একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এজাহারনামীয় ৩নং আসামি সাইফুল ইসলাম(বাদশা)কে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিকভাবে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামি এ হত্যা কান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ও অনত্যম পরিকল্পণাকারী ছিলো বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে হাটহাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, উপরে উল্লিখিত মামলার ২নং আসামি মোঃ শাহজাহান (ধৃত আসামি সাইফুল ইসলাম(বাদশা)'র আপন ভাইকে র্যাব-৭ কর্তৃক একই অপরাধের কারণে গত ৩০ এপ্রিল আটক করেছিল।