মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের সংকট চরমে পৌঁছেছে। শ্রমিকের অভাবে দেশটির কোম্পানিগুলো ক্রয়াদেশ ফিরিয়ে দিচ্ছে আর খোয়াচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। দেশটিতে শুধু পাম তেল উৎপাদন খাতে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শ্রমিকের তীব্র ঘাটতির মধ্যেই স্থানীয় পাম তেল উৎপাদকদের ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল না হওয়ার আহ্বান জানান দাতুক জুরাইদা কামারুদ্দিন। স্থানীয় সময় শনিবার মালয়েশিয়ার বৃক্ষরোপণ শিল্প ও পণ্যমন্ত্রী দাতুক জুরাইদা কামারুদ্দিন এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আবাদ মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের শ্রমিকদের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল না হয়ে ভবিষ্যতে অবশ্যই ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশের শ্রমিকদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। তিনি মালয়েশীয় এস্টেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে (এমইওএ) আশ্বাস দিয়ে বলেন, তার মন্ত্রণালয় বর্তমানে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট এবং কো-অপারেটিভ কমিশনের মতো অন্যান্য বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যাতে এ সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা যায়।এদিকে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মালয়েশিয়ায় বন্ধ থাকা বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ পুনরায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চালু হলেও সরকারি অনুমোদনের ধীরগতির কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিক ফেরত আসতে পারেনি। শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার দীর্ঘসূত্রতাকেও আরেকটি কারণ বলছেন শিল্পগোষ্ঠী, কোম্পানি ও কূটনীতিকরা। রফতানিনির্ভর মালয়েশিয়ার এই দেশটি কারখানা পরিচালনা, বৃক্ষরোপণ এবং সেবা খাতের চাকরির জন্য লাখ লাখ বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভর করে থাকে। কারণ, এসব কাজকে মালয়েশিয়ার স্থানীয়রা নোংরা, বিপজ্জনক ও কঠিন বলে মনে করেন এবং এগুলোতে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে স্থানীয় নাগরিকরা তাদের নিজেদের দূরে রাখেন।