শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন লড়াইয়ের ভোট যুদ্ধে নেমেছেন পিতা ও পুত্র। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রতিদ্বন্ডিতায় নেমেছেন তারা।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউপির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ বাদশা গত ৩০ মার্চ অসুস্থ্যতা জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। পরে সেখানে চেয়ারম্যানের পদ শুন্য ঘোষনা করা হয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় শুক্রবার ১৭ জুন উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে পিতা-পুত্র দুজনেই দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পিতা নূর ইসলাম মাষ্টার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দিনের ৪৩ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্বে আছেন এবং সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। আর পুত্র হাফিজুল ইসলাম জুয়েল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য। অন্যদিকে সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আয়নাল ও শাহ পরান আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আগামী ২৭ জুলাই ওই ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। পিতা নূর ইসলাম মাষ্টার ও পুত্র হাফিজুল ইসলাম জুয়েল একই ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার রুপ নিয়েছে।
রামচন্দ্রকুড়া ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী নূর ইসলাম মাষ্টার বলেন, আমি রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সেই ১৯৭৮ সন থেকে আজ অব্দি ৪৩ বছর যাবৎ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। ১৯৯৮ সালে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হই। গত ইউপি নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চাইনি। আমার ছেলেকেই মনোনয়ন চাইতে বলেছিলাম। ভেবে ছিলাম দলের প্রতি আমার ত্যাগ ও তার নিবেদিত কর্মের বিবেচনায় তাকেই দল মনোনীত করবে। কেননা আমার ইউনিয়নের হেভিওয়েট প্রার্থীদের অতীত আমলনামায় দলের সিদ্ধান্ত ভঙ্গের অভিযোগ ছিল। অন্যদিকে আমার বিরোদ্ধে কিছু লোক নানা কথা বলে উপড় মহলে নেগেটিভ মন্তব্য করছে। আমি যাতে উপড় মহলে খাটো হই এবং দলীয় নৌকা প্রতিক না পাই। নৌকা প্রতিক চাইলাম আর আমি অসুস্থ ব্যাক্তিতে পরিনত হলাম। এমন কথা তারা বলছে। যত ষড়যন্ত্রই করুক উপর আল্লাহ একজন আছে। যেহেতু গতবার আমার ছেলে জুয়েলকে মনোনয়ন দেওয়া হইনি। এবারও নাও দিতে পারে সম্প্রতি এমন গুঞ্জন থেকেই পিতা পুত্র এক সাথেই মনোনয়ন চেয়েছি। ৪৩ বছর ধরে দল জনগনের সাথে রাজনীতি করছি এখনও আছি। কোনদিন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যায়নি। ভবিষ্যতেও যাবো না। দল ভেবে দেখুক আমাদের মুল্যায়ন কিভাবে করবে?