রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (আরএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম মোস্তাক হোসেন বলেছেন, খুব শিঘ্রই নির্মিত হতে যাচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী মহানগরীর বড়বনগ্রাম, বারই পাড়া ও বাজে সিলিন্দা মৌজার প্রায় ৬৮ একর জায়গার উপর দেশের প্রথম পরিকল্পিত এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে এখানে ১০টি অনুষদের অধীন ৬৮টি বিভাগের মাধ্যমে প্রতিবছর ৭৮০ জন গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থী শিক্ষা ও গবেষনার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে এখানে ডাক্তার-নার্সসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রায় ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এর দ্বারা উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষ উন্নত চিকিৎসার আওতায় আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের পর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে বহির্গমনের ফলে প্রতিবছর ব্যায়িতব্য প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার বৈদেশিক মূদ্রার সাশ্রয় হওয়ায় পাশাপাশি রাজশাহী মহানগরীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ইন্টেগ্রেটেড টিচিং এ- প্রসিডিউর অফ ইভ্যালিউশন অফ অ্যানসার স্ক্রিপ্ট শীর্ষক সায়েন্টেফিক সেমিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালটির ভারপ্রাপ্ত গণসংযোগ কর্মকর্তা (উপাচার্যের একান্ত সচিব) মো. ইসমাঈল হোসেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য আরও বলেন, অতি শিঘ্র্রই শুরু হবে জমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো নির্মাণ প্রকৃয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে অ্যাকাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ১২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, মসজিদ, স্কুল, ডে-কেয়ার সেন্টার, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, ভিসি বাসভন, ডরমেটরি, মেডিকেল গ্যাস প্ল্যান্টসহ মোট ২১টি গুরুত্বপূর্ণ ভবন।
সভায় আরএমইউ’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদ, প্রিভেন্টিভ এ- সোশ্যাল মেডিসিনের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহা. জাওয়াদুল হক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল কাদের, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নওশাদ আলী ছাড়াও রামেক সহ রাজশাহীস্থ আরএমইউ অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সকলকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার প্রতি গুরুত্তারোপ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে অনুষ্ঠানে আরএমইউ উপাচার্য বলেন, নিয়মিত এ ধরণের সেমিনার হলে রামেবির অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক সমস্যা নিরসন করা সহজতর হবে।
সেমিনারে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এবং কোডিং-ডিকোডিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয় বলেও জানিয়েছেন উপাচার্যের একান্ত সচিব।