এক সময়ে পাবনার সুজানগরের কৃষকদের প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট। ওই সময় উপজেলার মাঠে মাঠে কেবল পাট আর পাট শোভা পেতো। কিন্তু মাঝে পাট শিল্পের প্রতি উদাসীনতা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে দেশে বছরের পর বছর পাটের বাজারে ধস নামে। এতে উপজেলার কৃষকরা পাট আবাদে নিরুৎসাহী হয়ে পড়েন। কিন্তু বর্তমানে সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরে আশায় সর্বস্তরের কৃষক আবার পাট আবাদে ঝুঁকছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮হাজার ৫‘শ হেক্টর জমিতে। কিন্তু অনুকূল আবহাওয়ার কারণে আবাদ হয়েছে ৮হাজার ৭‘শ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ হয়েছে ২‘শ হেক্টর বেশি জমিতে। উপজেলার মানিকহাট গ্রামের পাট চাষী মন্টু খান বলেন এ বছর অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক সময়ে সার-বিষ দেওয়ার কারণে উপজেলার সর্বত্র পাট ভাল হয়েছে। আর ১০/১৫দিন পরেই পাটকাটা এবং পচানো শুরু হবে। আশা করছি প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ মণ পাট উৎপাদন হবে। স্থানীয় হাট-বাজারে পাটের বাজারও বেশ ভাল। উপজেলার বোনকোলা গ্রামের পাটচাষী মাজেদুল হক বলেন প্রতিবিঘা জমিতে পাট উৎপাদন করতে সার,বীজ এবং শ্রমিকসহ খরচ হয় ৭ থেকে ৮হাজার টাকা। বর্তমানে উপজেলার হাট-বাজারে প্রতিমণ পুরাতন পাট বিক্রি হচ্ছে ২৫‘শ থেকে ২৬‘শ টাকা দরে। এ হিসাবে এক বিঘা জমির পাট বিক্রি করে কৃষকের আয় হচ্ছে উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক বেশি। এতে কৃষক ভীষণ খুশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রাফিউল ইসলাম বলেন পাটের বর্তমান বাজার বেশ ভাল। তবে ১৫/২০দিন পরে হাট-বাজারে মৌসুমী নতুন পাট উঠলে দাম কিছুটা কমতে পারে।