পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকিরের পুত্র রাইয়ান তার বন্ধুরা ঈদ উল আযহার দিন রাতে চেয়ারম্যানের ভবনের পাশে পটকা ফুটানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের পুত্র রিয়াদ হাসান জানায়, ১০ জুলাই ঈদের দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সকল আত্মীয়স্বজন তাদের বাড়ীতে আসে। এ সময় ভবনের পশ্চিম পাশে বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠলে সবাই ভয়ে দ্বিগ-বিদ্বিগ ছোটা ছুটি শুর করে। আমরা বাইরে এসে কাউন্সিলর পুত্র জিসান ও তার বন্ধুদের পটকা ফোটা দেখে তাদের ভবনের পাশে পটকা ফোটানোর কারণ জানতে চায়। এনিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে জিসান পাশেই তর বাড়ীতে খবর পাঠালে তার চাচা জেলা আ.লীগ শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এসআরএম মানিকের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে শতাধিক সমর্থক সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের বাসভবনে হামলা চালায়। এতে চেয়ারম্যানের বড় ছেলে জেলা আ.লীগের সহপ্রচার সম্পাদক সোহেল মাহমুদ (৫৪), ক্রীড়া সংগঠক জুয়েল হোসেন (৫২), চেয়ারম্যানে পারিবারিক আত্মীয় নাসির নকিব (৫৫) ও নাতী জামাই রাজু (৩৮) আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এরমধ্যে মাথায় গুরুতর জখমী নাসির নকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়।
এবিষয় আহত নাসির নকিব জানায়, বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ভবনের বাইরে এসে কাউন্সিলরের বড় ভাই মানিকের সাথে শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র হাতে জড়ো হয়ে গালাগাল করতে দেখি। মানিকের কাছে উত্তেজনার কারণ জানতে চাওয়া মাত্র সে লোহার রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরি।
জেলা আ.লীগ শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এসআরএম মানিক বলেন, আমার ভাতিজা রাইয়ান তার বন্ধুদের নিয়ে পটকা ফুটালে তাকে গালাগাল করলে সে আমাদের কাছে কান্নাকাটি করে বললে আমি ও জাকির লেকজন নিয়ে জিগ্গেস করলে তাদের সাথে বাক বিতন্ড হলে দুই পক্ষেরই সমর্থকরা আহত হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান জানায়, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সদর হাসপাতালে আহতদের সাথে কথা বলেছি। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি।