বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রাণি সম্পদ ভবনে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম থাকলেও উপজেলা প্রাণি সম্পদ ভবনে রাতেও জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। জাতীয় পতাকা অবমাননার এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২০ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে কয়েকজন পথচারী পতাকা উড়তে দেখে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। রাতের আঁধারে জাতীয় পতাকা উড়লেও প্রাণি সম্পদ অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা পতাকা নামানোর তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ৩০ লাখ শহীদ ও তিন লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছি। এ পতাকার অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরে রাতের বেলা জাতীয় পতাকা উড়ছে এটা কর্তৃপক্ষের অবহেলা।
স্থানীয় হাবিবুর রহমান বলেন, এই অফিসে কেবল সেদিন রাতেই শুধু না, এর আগেও একাধিকবার জাতীয় পতাকা রাতে উত্তোলন করা ছিল। আবার অনেক সময় দিনের বেলাতেও জাতীয় পতাকা টাঙানো হয়না।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা: সরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় পতাকার টাঙানো ও নামানোর দায়িত্ব অফিস সহায়কের। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি বগুড়া শহর থেকে আসতে দেরি হওয়ার কারণে জাতীয় পতাকা নামানো হয়েছিল না। আমি রাতে এসে জাতীয় পতাকা নামিয়েছি। ভুলবসত এটা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিফা নুসরাত বলেন, এবিষয় আমি জানিনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।