রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডে দুইটি বসত ঘর, দুইটি রান্নাঘর, একটি খাবার ঘর, একটি গোয়াল ঘর সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে নগদ সাত লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল ও মূল্যবান কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এছাড়া একটি গরুসহ ৩৫টি হাঁস, ২৫টি মুরগী ও অর্ধশতাধিক কবুতর পুড়ে মারা গেছে। দুইটি গরু পুড়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ততক্ষণে সবকিছু পুরো ছাই হয়ে গেছে। হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোরে জেলার গৌরনদী পৌর এলাকার গেরাকুল গ্রামে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার শাহাদাত হোসেন জানান, শুক্রবার ফজরের নামাজের পর গেরাকুল গ্রামের সরদার বাড়ির বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সরদারের বসত ঘরের পেছনের গোয়াল ঘর থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান ওই শিক্ষকের বসত ঘরসহ তার ভাই প্রভাষক নজরুল ইসলামের ঘরে ছড়িয়ে পরে।
সূত্রমতে, মোস্তাফা সরদার ও তার ভাই নজরুল সরদার বড় কাঠের ঘরে বসবাস করতেন। মোস্তফা সরদারের বোনের মেয়েরা সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি করেন। তাই ওই ঘরে তাদের বিভিন্ন ধরনের মালামালসহ মূল্যবান কাগজপত্র ছিলো। ফায়ার সার্ভিসের লিডার শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, বিষযটি তদন্ত না করে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা।
মোস্তাফা সরদার বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি সম্পূর্ন রহস্যজনক। যেখান থেকে অগ্নিকান্ডের শুরু হয়েছে গোয়ালঘরের সেইস্থানে আগুন ধরার কোন কারণ নেই। তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডে মালামালের সাথে সরকারী চাকুরিজীবী তার বোনের মেয়েদের শিক্ষাগত সনদসহ মুল্যবান কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনার রহস্য উদ্ধারের জন্য তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও উল্লেখ করেন।
বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য পাঁচ বানটিন ও নগদ সাত হাজার টাকা দিয়েছেন। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।