জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর শহরে পুরনো রাস্তার উপর ঘর তুলে নির্মান কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। ফলে বন্ধ হয়ে আছে রাস্তাটির নির্মান কাজ। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। পৌর শহরের মালিরচর মৌলভীপাড়া গ্রামের হাসু মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। ওই হাসু মিয়াই ইউএনও-মেয়রসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
জানা যায়,বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মালিরচর মৌলভী পাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে মালিরচর হাজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিনের। দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর যাবত কাচাঁ ওই রাস্তা দিয়ে অনেক কষ্টে চলাচল করছে এলাকাবাসী। রাস্তাটি পুরনো হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। গত এক বছর পূর্বে রাস্তাটির বেশ কিছু অংশ নিয়ে ঘর নির্মান করে ওই এলাকার মকছেদ আলীর ছেলে হাসু মিয়া। সম্প্রতি বকশীগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে অবহেলিত রাস্তাটি পাকা করনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তার উপরে ঘর থাকায় নির্মান কাজ বাধাঁগ্রস্ত হয়। পরে হাসু মিয়ার সাথে কথা বলেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর। ঘর সরানোর কথা বলে পৌর মেয়রের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকাও নেন হাসু মিয়া। টাকা নেওয়ার পর হাসু মিয়া ঘর না সরিয়ে টালবাহনা করতে থাকেন। এতে করে বন্ধ রয়েছে সড়কের নির্মান কাজ।
উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোক্তারুজ্জামান বলেন,হাসু মিয়া ইচ্ছেকৃতভাবে সড়কের উপর ঘর নির্মান করেছেন। তাকে ঘর সরানোর জন্য বলা হলেও তিনি শুনছেন না।
মালিরচর এলাকার শাহিন আলম বলেন,রাস্তাটি অনেক পুরনো। রাস্তার উপর ঘর নির্মান করে উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন হাসু মিয়া। তার একার একঘেয়েমির কারণে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
ঘর উত্তোলনকারী হাসু মিয়া বলেন,আমার জমির উপর দিয়ে জোড়পূর্বক রাস্তা নির্মান করতে পায়তারা করছে একটি মহল। তাই আমি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে পৌর মেয়র,ইউএনও,পিআইও এবং উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
মালিরচর মৌলভীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের পুত্র আমজাদ বলেন,যে জমির উপর দিয়ে রাস্তা হচ্ছে এবং হাসু মিয়া যে জমি নিজের বলে দাবি করে রাস্তা নির্মানে বাধাঁ দিচ্ছে ক্রয়সূত্রে সেই জমির প্রকৃত মালিক আমি। হাসু মিয়ার কোন জমি রাস্তায় পরেনি।
পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর বলেন,ঘর সরানোর কথা বলে হাসু মিয়া আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকাও নিয়েছেন। তাকে বারবার বলা হলেও একটি কুচক্রি মহলের ঈন্ধনে ঘর না সরিয়ে উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। পৌর সভার আগামী মাসিক মিটিংয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই হাসু মিয়া পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে জামালপুরের সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।