কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নাসির উদ্দিন (৩৮) নামের এক যুবককে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহার ভুক্ত পলাতক আসামি স্বপন মিয়াকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ আগষ্ট) পঞ্চগড় জেলা সদরের চৌরাঙ্গির মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে পাকুন্দিয়া থানাধীন আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ। স্বপন মিয়া উপজেলার মধ্য মান্দারকান্দি গ্রামের মৃত আবদুল বাতেনের পুত্র। তাকে শনিবার (৬ আগষ্ট) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি এ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ছিলেন।
আহুতিয়া তদন্তের ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পঞ্চগড় জেলা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে চৌরাংগির মোড় এলাকা থেকে স্বপন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে এ মামলার এজাহারভুক্ত আরো দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে নিয়ে মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো।
উল্লেখ্য, উপজেলার মধ্য মান্দারকান্দি গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে নাসির উদ্দিন ও একই গ্রামের মৃত আবদুল বাতেনের ছেলে স্বপন মিয়ার (৩৮) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) সকালে বিরোধপূর্ণ জমির কলা বাগান থেকে একটি কলার ছড়ি কাটতে যান নাছির উদ্দিন। এ নিয়ে নাসির উদ্দিন ও স্বপন মিয়ার মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে স্বপন মিয়া দা দিয়ে নাসির উদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত নাছির উদ্দিন মাটিতে লুটে পড়ে। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই নিহতের ছোট ভাই মো. সোলাইমান বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই স্বপন মিয়া পলাতক ছিলেন।