গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামের নিম্নআয়ের মানুষদের নেতৃত্বে দিচ্ছে। যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাতে সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে। সমাজ বিনির্মাণে গ্রামীণ ব্যাংক অসাধারণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বুধবার নগরীর গ্রামীণ ব্যাংক অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাতাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের কল্যাণে কাজ করার মধ্য দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক বঙ্গবন্ধুকে সম্মান দিচ্ছে। সমাজের জন্য, সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করলেই জাতির পিতার প্রতি সম্মান দেখানো হবে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই প্রধানমন্ত্রী অবিচল। প্রধানমন্ত্রী মনে প্রাণে দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করে থাকি। আপনারা সবাই প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত সব কাজ যেন সমাপ্ত হয় এবং দেশ থেকে যেন দারিদ্র্যতা ও বৈষম্য দূর হয়। তিনি বলেন, সরকারের প্রতি আবারও আনুগত্য প্রকাশ করছি, কারণ সরকার দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করছে। বাবার মতোই শেখ হাসিনা চিন্তাশীল, দেশের মানুষের কল্যাণ করাই শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র। বঙ্গবন্ধু ন্যায়ের কথা বলেছিলেন, সাম্য প্রতিষ্ঠার করেছিলেন, এটা স্বীকৃত সত্য। বঙ্গবন্ধু সামাজিক আস্থাবোধ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সবাই সাড়া দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর মতোই মানবতাবোধ, ন্যায়বোধ, বিচারবোধ, সাম্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। যেন সবাই এক সঙ্গে সুখে দুঃখে বসবাস করতে পারে। ৭৫-এর ঘাতকদের প্রতি ঘৃণাবোধ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিচু স্তরের কলঙ্কময় একটি দিন। এই নৃশংসতা কীভাবে সম্ভব? আমাদের ধারণার মধ্যে আসে না। এটা নিচু ও বিকৃত মানসিকতার পরিচয়। যে গোষ্ঠী বাংলাদেশ চাইনি, যে গোষ্ঠী অর্থনৈতিক মুক্তি চাইনি, যে গোষ্ঠী গরিব দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন চাইনি তারাই এই ঘৃণিত কাজ করেছে। যারা মুক্তির বিরুদ্ধে তারাই এই কাজ করেছে। গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা একেএম সাইফুল মজিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান, গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক মো. জসীম উদ্দীন, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রহিম খাঁন প্রমুখ।