দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ পৌর ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনা শুরু হয়েছে ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে। প্রথম দিনেই জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। প্রায় ৩ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এই নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যাবসায়ী নেতা নির্বাচনের জন্য অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন। কালীগঞ্জ পৌর ব্যবসায়ী সমিতির ২৩ টি পদের বিপরীতে ৫৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। তার তন্মধ্যে ৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বিভিন্ন পদে জয়লাভ করেছেন। তারা হলেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন। যথাক্রমে সুজল কুমার দেবনাথ ও হুমায়ুন কবির। দপ্তর সম্পাদক পদে রবিউল ইসলাম। ১,২,৫,১০,১১ ও ১২ নং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় যথাক্রমে পাস করেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান,তারেক আজীজ,শাহিনুর রহমান পিন্টু,মিজানুর রহমান ও আজাদ হোসেন।অর্থাৎ ভোটের মাঠে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দি করছেন ৪৪ জন প্রাথী। কালীগঞ্জ পৌর ব্যবসায়ি সমিতির নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রার্থীরা বৃহস্পতিবার থেকে প্রচার প্রচারনা আনুষ্ঠানিকভাবে সরব হয়েছেন। প্রত্যোক প্রার্থী নিজ প্রতিক সংবলিত পোস্টার নিয়ে দোকানে দোকানে গিয়ে ভোটারদের নিকট ভোট প্রার্থনা করছেন। আবার অনেক প্রার্থীর নিজ নিজ আত্মীয়দের নিয়ে ভোট চাইতে দেখা যায়। এ সময়ে সাধারণ ভোটারদেরকে প্রার্থীরা নানারকম প্রতিশ্রুতি ও দিচ্ছেন। কয়েকজন প্রার্থীকে শহরের মোড়ে মোড়ে পোস্টার টাঙাতে শুরু করেছে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কালীগঞ্জ পৌর ব্যবসায়ি সমিতির তি-বাষিক নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। সাধারণ ভোটাররা বিশ্লেষন করতে শুরু করেছেন বিভিন্ন পদের প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের যোগ্যতা।
এব্যাপারে প্রদান নির্বাচন কমিশনার এনামুল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে শহরের সলিমুনন্নেসা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় আর কোনো বাধা নেয়। আশারাখি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশ গ্রহনমূলক একটি নির্বাচন কালীগঞ্জ পৌর ব্যাবসায়ী সমিতিকে উপহার দিতে পারবো।