রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা এলাকায় অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত হাসান (১২) রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বারঘরিয়া গ্রামের চানাচুর বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাকের পুত্র। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত হাসানের সাবেক দুলাভাই নুরআলম ও জাহেদুল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার হারাগাছ থানার এলাকা সারাই বকুলতলা নামক স্থানে রেললাইনের পাশে ডোবা থেকে অজ্ঞাত হিসেবে হাসানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বারঘরিয়া গ্রামের চানাচুর বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে শিমুর সাথে পার্শ্ববর্তী কুতুবপুর রোস্তমাবাদ গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে নুর আলমের বিয়ে হয়। পরবর্তিতে বনিবনা না হওয়ায় শিমু তার স্বামী নুরআলমকে তালাক দেন। বিচ্ছেদের পর থেকে নুর আলম প্রায়ই আবদুর রাজ্জাক ও তার পরিবারকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন। গত শনিবার আইড়মারী হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে হাসানকে সুকৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় নূর আলম। পরে মঙ্গলবার পুলিশ হাসানের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থানার অভিযোগে হাসানের সাবেক দুলাভাই নুরআলম ও জাহেদুল ইসলাম নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের নূর আলম হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, হাসানকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার সাবেক দুলাভাইসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।