রংপুরের তারাগঞ্জের একটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রাতেও জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেছে। সোমবার (২২ আগস্ট) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান লিংক বলেন, রাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা অবমাননার শামিল। সন্ধ্যার আগে পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রাতে পতাকা টানানো যাবে না। দেশে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম অনুযায়ী সূরে্যাদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। জাতীয় পতাকা রাতে উড়ানোর ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ যানাই।সন্ধ্যার আগেই পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে। তবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবের অবহেলায় রাতেও জাতীয় পতাকা না নামানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন স্থানীয় সচেতন মহল জানান, সোবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে তারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখেন। বিষয়টি দেখে তাদের খারাপ লেগেছে। জাতীয় পতাকার সম্মান অক্ষুণœ রাখতে আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবিও জানান তারা।
পরিষদের গাঁ ঘেষা দোহাজারী গ্রামের জয়নাল আবেদীন বলেন, চেয়ারম্যান ও সচিবের অবহেলার কারণে রাতেও পতাকা উড়ছে। তবে মাঝে মধ্যেই রাতেও দেখা যায় এই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পতাকা উড়তে। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিস উদ্দিন বলেন, আমি জরুরি কাজে ইউএনও স্যারের সঙ্গে রাত ৯টা পর্যন্ত ছিলাম। রাতে পরিষদে পতাকা উঠানো বিষয়ে জানি না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও রাসেল মিয়া বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সূরে্যাদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উড়ানোর নিয়ম রয়েছে। রাতে আমাদের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উড়ানোর বিষয়টি অবমাননার শামিল। জাতীয় পতাকার সম্মান অক্ষুণœ রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওই ইউপি পরিষদ কার্যালয়ে রাতের আঁধারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রেখেছে বিষয়টি আমি যানতে পেরেছি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।