এমপিও ভুক্ত মাদ্রাসায় নিয়ম বর্হিভূত ভাবে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২০ মে”২২ শূন্যপদে একজন সুপার,পরিচ্ছন্নকর্মী ও আয়া নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও পরিক্ষার্থীদের সদর উপজেলা চত্তরে দেখা গেলেও প্রতিষ্ঠান প্রধান সহকারী সুপার বাবুল আক্তারকে দেখা যায়নি। আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাস শিক্ষা বোর্ডের ডিজি’র প্রতিনিধি সহকারী পরিচালক (অর্থ) লুৎফর রহমানকে প্রার্থীদের পরামর্শ দিতে দেখা যায়। এ সময়ে তিনি প্রার্থীদের বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে ফাইল প্রতি টাকা না দিয়ে একবারে চুক্তি করে নিবেন,তাহলে বাচবেন। অপরদিকে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান ভিতরে প্রবেশ না করে গেট থেকেই সরে পড়েন। অবৈধ নিয়োগ পরীক্ষাটি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামানের অপিসের মধ্যে গোপনে পরীক্ষা নেওযার কথা ছিল। কিন্তু সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে কর্মকর্তারা পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কালীগঞ্জের নলডাঙ্গা শামসুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসায় ব্যপক অনিয়ম ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে গত সোমবার (২২ আগষ্ট) অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির ৬ সদস্য ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে পদত্যাগ করেন এবং অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দূর্নিতি রিবোধী বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। নলডাঙ্গা শামসুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার বাবুল আক্তার বলেন,স্থানীয় সমস্যার সমন্ময় না থাকার কারণে নিয়োগ বোর্ড হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ কারনেই আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ডিজি,র প্রতিনিধির বক্তব্য অনুযায়ী ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি। তিনি জানান শুক্রবার ৩ প্রার্থীর নিয়োগ নয় ১ জন সুপার নিয়োগের বিষয়টি আমি জানি।
নলডাঙ্গা শামসুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি অহিদুল আলম খান খোকনকে একাধিকবার মুঠোফেনে কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ডিজি’র প্রতিনিধি সহকারী পরিচালক(অর্থ) লুৎফর রহমানের সাথে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান নিয়োগ বোর্ডে না থাকার কারণে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম বলেন,এ ধরনের কোন অনিয়ম হলে তদন্ত সহকারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।