আট বছর ধরে সেতুটির পাটাতন ভেঙ্গে আছে। এরইমধ্যে খাদে পড়ে রোজদার আলী নামের একজন মারাও গেছেন। পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আরো বেশ কয়েকজন। এখনও ঝুঁকি নিয়ে সেতুর উপর দিয়ে হাজার হাজার মানুষ আর ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থা উপজেলার হাটফাদিলপুর-নিত্যানন্দপুর সড়কের। এই সড়কের হাটফাদিলপুর বাজারের কাছে জিকে (গঙ্গা-কপোতাক্ষ) সেচ প্রকল্পের আলমডাঙ্গা মেইন খালের উপর একটি সেতু এভাবে বছরের পর বছর ভেঙ্গে পড়ে আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সেতুটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন আপাতত তাদের কোনো বাজেট নেই, তবে অর্থ বরাদ্ধের চেষ্টা করছেন। বরাদ্ধ পেলে সেতুটি মেরামত করবেন। কুমিরাদহ গ্রামের ইসলাম আলী জোয়ার্দ্দার জানান, তিনটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৫ গ্রামের মানুষ এই সড়কটি ব্যবহার করে। যার মধ্যে রয়েছে চন্দ্রজানি, শিতারামপুর, পরানপুর, বাকড়ী, পানামী, কাকুড়িয়াডাঙ্গা, ভবানীপুর, সমশপুর, ফাদিলপুর উল্লেখযোগ্য। এই সড়কের হাটফাদিলপুর ও ভবানীপুর এলাকায় ৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্কুলের ছেলে-মেয়রাও এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করে। পাচপাখিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই ভাঙ্গা সেতৃর উপর দিয়ে চলাচল করেন। ২০১৫ সালের দিকে সেতুটির পাটাতন ভেঙ্গে ১০ ফুট খাদের সৃষ্টি হলেও প্রায় ৮ বছরেও সেতুটি মেরামত করা হয়নি। তিনি জানান, শুধু পাটাতন নয় সেতুটির রেলিংও সিংহভাগ ভেঙ্গে গেছে। সেতুর পাশের দোকানী আকাশ হোসেন জানান, মাঝে মধ্যেই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। কেউ পড়ে গেলেই তিনি ছুটে গিয়ে উদ্ধার করেন। কিন্তু এভাবে কতদিন, ৮ টি বছর এই ঝুঁকির মধ্যে এলাকার মানুষ। আকাশ আরো জানান, সেতু ভাঙ্গার কারণে সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পন্য বাজারে নিতে খচর বাড়ছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম. রাশেদুল হাসান জানান, এই সেতুটি ছাড়াও তাদের আরো বেশ কয়েকটি সেতু মেরামত করা প্রয়োজন। কিন্তু বাজেট না থাকায় করতে পারছেন না। তারা বাজেটের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন, পাওয়ার পর দ্রুতই মেরামত করতেন বলে জানান।