নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক সংখ্যা লঘু পরিবারের জমি জোড়পুর্বক দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এটি ঘটেছে উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ায়। জমি উদ্ধারে সংখ্যা লঘু পরিবারের পক্ষ থেকে সৈয়দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়,ওই এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী ঝুটি কুমার রায় এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে ১৯৭১ সালে মারা যায়। এরপর তার স্ত্রী এবং ছেলেও মৃত্যুবরণ করেন। তার ওয়ারিস বলতে বেঁচে থাকে একমাত্র মেয়ে লক্ষী রানী রায়।
লক্ষী রানীর বিয়ে হয় রমেশ চন্দ্র রায় নামে এক লোকের সাথে। বিয়ের পর ওই লক্ষী রানী রায় তার স্বামীকে নিয়ে বাবার বসতভিটায় বসবাস করতে থাকে।
এরই মধ্যে লক্ষী রানীর এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে ওই সন্তানের বয়স চলছে প্রায় ৩৫ বছর।
লক্ষী রানী জানায় সে ছোট থাকা অবস্থায় তার বাবা ১৪৩ শতক আবাদি জমি বাড়ীর পাশে ফজলু, খোরশেদ,বাবলু,আসাদুল,আব্দুল্লাহ আল মামুন,সাইফুদ্দিন ও বিমল চন্দ্র রায়কে চাষাবাদ করার জন্য বর্গা ( আদি) দেয়।
কিন্তু তার বাবা মারা যাওয়ার পর তারা জমি ফেরত না দিয়ে জোড় করে তাদের দখলে রাখে। এভাবে একসময় তারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে জমির মালিকানা দাবি করে বসে। তারা সংখ্যায় বেশী হওয়ায় আমি একা কোন কিছু করতে পারি নেই। তাছাড়া আমি জমির কথা তুললেই তারা আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। অনেকটা নিরুপায় হয়ে আমি অপেক্ষা করতে থাকি। আমার ছেলে বড় হলে আমি জমির কাগজপত্র খুঁজতে থাকি।
এরই মধ্যে তারা কিছু সম্পত্তি অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয়।
কাগজপত্রে দেখা যায়, ৪০ ও ৬২ রেকর্ড আমার দাদার নামে রয়েছে। এরপর আমি জমির বিষয়টি এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের জানালে তাদের কাছ থেকেও কোন সহযোগিতা পাইনি। বাধ্য হয়ে জমি ফেরত পেতে আমার ছেলে চন্দন কুমার রায় সৈয়দপুর থানায় ন্যায় বিচার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থানে তদন্তে আসেন পুলিশ। তারা উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডাকলে বিবাদী পক্ষ সেখানে না গিয়ে উল্টো বাদীকে গালিগালাজ করতে থাকে। থানায় না যাওয়ার কারণ হতে পারে তাদের কাগজপত্র সঠিক ছিল না।
এ ব্যাপারে খোরশেদ আলম জানান,আমরা জমি লক্ষী রানী রাশ ও তার স্বামীর কাছ থেকে ক্রয় করেছি। এদিকে লক্ষী রানী ও তার স্বামী জানান আমরা তো জমির মালিক না। তাছাড়া কাউকে তো আমরা জমি লিখেও দেইনি।
জমির ওয়ারিস ও থানায় অভিযোগকারী চন্দন রায় বলেন,আমার জমি তারা জোড় করে দখলে নিয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে তারা কাগজ তৈরী করে জমি গ্রাসের পায়তারা করছে। আমি এটির সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করছি।