সুন্দরবনে মাছ ধরার সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় খুলনার পাইকগাছায় গড়ইখালীর ফকিরাবাদের সিরাজুল গাজী (৫০) নামে এক মৎস্যজীবীর মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম করা হয়। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করেন বনবিভাগ। কয়রা বানিয়াখালী ফরেস্ট অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে মৎস্য আহরণের সময় সিরাজুলের মাথায় আঘাত করে জখম করেন মৎস্যজীবী কয়রার হড্ডা গ্রামের বিপুল সরদার। যার বিএলসি নং-২২২৩০৪০১০১৪ ও একই গ্রামের সহিলুউদ্দীনের ছেলে আবু বক্করসিদ্দিকী। যার বিএলসি নং-২২২৩০৪০৬। জানাগেছে, হামলাকারী মৎস্যজীবীদের ২টি নৌকা জব্দ করে এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা বনবিভাগ খতিয়ে দেখেছেন। বনবিভাগ জানিয়েছেন, মৎস্যজীবী সিরাজুল কয়রার মৎস্যজীবীদের বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারার কথা তুললে ওরা তাড়া করে তাকে মারপিট করে আহত করেন। এদিকে এ হামলার সময় পালিয়ে আসা আহত সিরাজুলের খালাতো ভাই মৎস্যজীবী ওলিউল্লাহ বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সুন্দরবনের উত্তরখালী খালে দু'ভাই খেপলা জাল দিয়ে মৎস্য আহরণ করছিলো। মাছ ধরতে-ধরতে একপর্যায়ে দুভাই খালের শেষ প্রান্তে গিয়ে দেখি অন্য মৎস্যজীবীরা বিষ প্রয়োগ করে খালে ডুবোজাল দিয়ে মাছ মারছে। তিনি আরোও বলেন, ভাই সিরাজুল বিষ দিয়ে মাছ মারার কথা উল্লেখ করা মাত্রই ৪/৫ জন লোক তাড়া করেন। এ সময় আমরা উচ্চৈঃস্বরে হাক-ডাক দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। একপর্যায়ে আমি অন্ধকারে গোপণে লুকিয়ে থাকলেও ত্তরা ভাই সিরাজুলকে ধরে ফেলে তার মাজা ও মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে যায়। ডাক চিৎকার ও মারপিঠের শব্দ পেয়ে অন্য মৎস্যজীবীরা দ্রুত দৌঁড়ে এসে আমার উদ্ধার করে ফরেস্ট অফিসে মোবাইল করেন। ফরেস্টের লোকজন অভিযান চালিয়ে উত্তরখালী খাল থেকে কয়রার ২টি মাছধরা নৌকা উদ্ধার করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। আহত সিরাজুল জানান, ঘটনার পরে বনবিভাগের লোকজন আমাদের ট্রলারে করে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দিলে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্লেক্সে ভর্তি হই। সে ফকিরাবাদের মৃত হামিদ গাজীর ছেলে। এ ঘটনায় সিরাজুলের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানাগেছে।