রংপুরের তারাগঞ্জে দুই যাত্রীবাহি বাসের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরে ঠাকুরগাঁও থেকে ছেড়ে আসা ইসলাম পরিবহন বাসের লকার থেকে ৪টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রায় ৮ ঘন্টা পরে গরু ৪টি উদ্ধার করা হয়। পরে গরুগুলো মালিককে ফেরত দেয়া হয়েছে। লকারে গরু পরিবহনের বিষয়টি দুর্ঘটনায় না পড়লে কারও নজরেই আসত না। ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বাসের লকারে গরু পরিবহনের ঘটনা সচেতন মহল নিষ্ঠুর আচরণ বলে মনে করছেন।
জানাগেছে, রোববার সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জের খারুভাজ এলাকায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা ঠাকুরগাঁওগামী জোয়ানা পরিবহন ঠাকুরগাও থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহন মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থেেল ৫ জন এবং রমেক হাসপাতালে ৩ জন মারা যান। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুর্ঘটনার পরে সোমবার ক্রেন ও ডেকার দিয়ে বাস দুটিকে টেনে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে তারাগঞ্জ হাইওয়ের সামনে রাখা হয়। এর পরে ইসলাম এন্টারপ্রাইজের বাসটির লকারে শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। পরে লকার খুলে দেখা যায় সেখানে ৪টি গরু। এর মধ্যে দুটি গরু আহত অবস্থায় ছটফট করছিল। তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ গরুগুলোকে উদ্ধার করে সেবা- যতœ করে পরে গরুগুলোকে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গরুগুলো ঠাকুরগাও থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এদিকে দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে বর্তমানে ১৫ জন রমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
লকারে করে গরু পরিবহনের বিষয়টি জানাজানি হলে অনেকেই এটি প্রাণির সাথে নিষ্ঠুর আচরণ বলে মনে করছেন। জেলা সুজনের সভাপতি বীব মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, বাসের লকারে করে গরু পরিবহনের কথা এই প্রথম শুনলাম। প্রাণিদের সাথে এমন আচরণ কারই কাম্য নয়। তিনি এ বিষয়ে পরিবহন মালিকদের সচেতন হতে আহবান জানান।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুব মোর্শেদ জানান, নিহত ৮ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। গরু উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন লকারে করে গরুগুলো ঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পরে সোমবার বিকেলে মালিকের কাছে গরুগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। গরুর মালিক কে ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এ্স আই আক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এসআই আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন রংপুরে রয়েছি। এই মূহুর্ত্তে গরুর মালিকের নাম বলতে পারব না।