কালীগঞ্জে এক প্রসুতি এক সাথে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বেদে পল্লীতে। শিশু তিনটির মা সিমা খাতুনের প্রকব যন্ত্রনা শুরু হলে শুক্রবার স্থানীয় বরোবাজার নিউ গরীব শাহ ক্লিনিকে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন। সেখানে সিজারিয়ার অপারেশন করেন ডাঃ সাথিয়া আফরিন তিনি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি ৩ সন্তান বের করে আনেন এরমধ্যে একটি পূত্র সন্তান ও দুইটি কন্যা সন্তান। এক সঙ্গে ৩ সন্তান জন্মের পর পরিবারের সকলে খুশি হলেও কি করে ৩ সন্তানের খাবারের খরচ যোগাবেন সে চিন্তায় বাবা মায়ের কপালে চিন্তায় ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। তিন সন্তানের মা গৃহবধুূ সিমা খাতুন ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের বাদেডিহী গ্রামের বেদে সম্প্রদায়ের আরমান হোসেনের স্ত্রী। তিনি পেশায় একজন সাপুড়িয়া।
ডাঃ সাথিয়া আফরিন জানান, বর্তমানে তিনটি সন্তান ও তাদের মা সুস্থ আছেন। তবে অপারেশন পরবর্তি সময়ে বাচ্চাদের কোন সমস্যা যাতে না হয়, এজন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্লিনিক মালিক ইসলাম বলেন, গতকাল সিমা খাতুন অসূস্থ বোধ করলে তাকে সকাল ১১ টার সময় আমার ক্লিনিকে নিয়ে আসেন তার স্বামী আরমান হোসেন। এরপর রোগীকে ডাঃ সাথিয়া দেখানো হয়। তিন সন্তান এবং মা ভালো আছে তবে পরবর্তি কোন সমস্যা যেন না হয় এজন্য যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও তারা আর্থিক সমস্যার কারণে যশোর নিতে পারছেন না।
বাবা আরমান হোসেন বলেন, এক বছর আগে পারিবারিক ভাবে আমাদের বিয়ে হয়। একসঙ্গে তিন সন্তানের বাবা হলাম। আমি পেশায় সাপুড়িয়া সাপ বানর খেলা এখন আর মানুষ দেখতে চায় না। তারপরও সেখান থেকে যা উপার্জন হয়, কোনোমতে দুজনের সংসার চলে যায়। বাচ্ছাদের মূর্খ দেখে আমি অনেক খুশী হয়েছি। এই খুশীর পাশাপাশি আমার মাথায় এখন চিন্তার পরিমানও কম নয়। কারণ এই তিন সন্তাানের দুধ কেনা খরচসহ অন্যান্য খরচ আমি কিভাবে সংকুলান করবো। আমি যা আয়-রোজগার করি তা দিয়ে কোন রকম এক বেলা খেয়ে না খেয়ে চলে আমার সংসার।
এখন আমি এই বাচ্চাদের মানুষ করবো কিভাবে। আমার বাচ্চাদের মানুষ করার জন্য উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সূধী সমাজ, বিত্তবান এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা কামনা করছি।