আশাশুনি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে নানা মূখী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক জীবনকে অর্থবহ করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নীল কণ্ঠ সোম বহু দিন ধরে সুনামের সাথে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৬ সালে তার সাথে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নতুন মুখ হিসাবে নির্বাচিত হন রনজিত কুমার বৈদ্য। এরপর থেকে নতুন উদ্যমে সকল সদস্যদের নিয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যক্রম গতিশীল হতে থাকে। যার ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার বৈদ্য জানান, আমরা দায়িত্ব গ্রহনের পর সভাপতিসহ সকল সদস্য মিলে সংগঠন ও অন্যান্য কাজে আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে হাত দেই। ইতোমধ্যে আশাশুনি সদর কালিমন্দির টাইলস স্থাপনসহ সংস্কার কাজ ও মন্দির সংলগ্ন নাট মন্দির নির্মান করা হয়েছে। আশাশুনি দুর্গা মন্দির ভবন পুনঃ নির্মান, মন্দির সংলগ্ন স্টেজ, বাথ রুম ও স্টোর রুম করা হয়েছে। আশাশুনি সদর রাস মন্দির সংস্কার ও টাইলস বসানো হয়েছে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ অফিস নির্মান, সুসজ্জিত ও সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশাশুনি সেবাশ্রমের বেদখলীয় জমি ৯৮ বছর পর উদ্ধার করা হয়েছে। নাকতাড়া সার্বজনীন কালিমন্দিরের জমি উদ্ধার করা হয়েছে। কুল্যা বেনাডাঙ্গা শ্মশান ও খরিয়াটি শ্মশান ঘাট নির্মান করা হয়েছে। সব্দালপুল পরিমল কুমার রায়ের ২৮ বিঘা বেদখলীয় জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কল্যাণে কাজ করা হয়েছে।
উপজেলার ১১ ইউনিয়নে উৎসব মুখর পরিবেশে পরিষদের সম্মেলন সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব সম্মেলনে ৫০০ থেকে সহ¯্রাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হন। শারদীয়া দুর্গোৎসবসহ সকল পূজা পার্বনে পাশে থেকে শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনে সহযোগিতা করে এসেছি। এ ছাড়া দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও মন্দিরে হামলা, অত্যাচার নির্যাতন প্রতিরোধ এবং স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দাবী আদায়ে সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। জাতীয় প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের সফলতায় ঈর্ষান্বিত কিছু কুচক্রী ব্যক্তি দুর্গাপূজার চালের মূল্য কম ও মন্দির পিছু টাকা আদায় করে আত্মসাতের ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। অথচ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে রশিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হয়েছে। এসব টাকা সাংগঠনিক কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আয় ব্যয়ের হিসাব যাচাই ও অনুমোদনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। এটি আমার দায়িত্ব পালনের বহু বহু পূর্ব হতে চলে আসছে। অজয় কুমার ঘোষসহ যাদের নাম উদ্ধৃত করে অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে তারা নিজেরাই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সুসংগঠিত ধর্মীয় সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং সংশ্লিষ্টদের চরিত্রে কালিমা লেপন করে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি ও সংগঠনকে ক্ষতি করার মানসিকতা পরিত্যাগ করে ভাল কাজে এগিয়ে আসতে তিনি উদাত্ব আহবান জানিয়েছেন।