নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবী আদায়ে কর্মবিরতি করেছে। চাকরীবিধি বৈষম্য, কর্মকর্তাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার ও চাকরী নিয়মিতকরণ সহ বেশ কয়েকটি দাবী আদায়ে রোববার সকালে বেগমগন্জে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তর অফিসের সামনে কর্মবিরতি শুরু হয়।
এ সময় নোয়াখালীর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জিএম জাকির হোসেন, কর্মচারীদের কর্মবিরতিকে অফিসের আইন পরিপন্থী বলে মনে করেন, এবং এই দাবীর সাথে তিনি একাত্মতা ঘোষণা না করে সবাইকে কর্ম স্থলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেন।
এই সময়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আজকের কর্মবিরতি সম্পর্কে তিনি আগে জানতেন।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুই রকম নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদণ্ডপদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। এসব বৈষম্য নিরসনে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও তাদের দাবী বাস্তবায়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) আন্তরিক নয়। দেশের ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
কর্মবিরতিতে ইনস্পেকটর জাবেদ আলী বলেন আমরা সমসময় বেতন বৈষম্যের শিকার তাই ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ আমাদের দাবী গুলো মেনে নেন।
মিলিং সুপারভাইজার উম্মে ফাতেমা জানান আমরা মুখ খুলে এইসব দাবী জানালেও কেউ এই ব্যাপারে কোন খবর রাখে নি। তাই আজ আমরা মাঠে কর্মবিরতিতে নেমেছি।
মিলিং সহকারী মমতাজ বেগম বলেন একই অফিসে আমরা সব কাজ একসাথে করি কিন্তু আমাদের বেতন বৈষম্যের কারণে আজ আমরা মাঠে নেমেছি।
এই সময়ে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ, কবিরহাট, চাটখিল, সোনাইমুড়ি সহ সব উপকেন্দ্র কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।