নওগাঁর রাণীনগরে ইসলামি ফাউন্ডেশনের এক শিক্ষকের কাছে সুপার ভাইজারের নামে ঘুষ দাবির অভিযোগ ওঠেছে।এঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক শাহাদত হোসেন। শিক্ষক শাহাদত হোসেন উপজেলার মিরাট চরকানাই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,শিক্ষক শাহাদত হোসেন গত ২০১৬ইং সালে ইসলামি ফাউন্ডেশনের আওতায় উপজেলার ধনপাড়া মৎস্যজীবি পাড়া জামে মসজিদ কেন্দ্রে মসজিদ ভিত্তিক নূরানী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০১৭ ইং সালে আবু মুসা সুপার ভাইজার হিসেবে যোগদান করার পর থেকে অজ্ঞাত কারণে অ-কারনে শিক্ষককে চাকুরী ছেরে দেয়ার পরামর্শ দেন। চাকুরী ছেরে না দেয়ায় বিভিন্ন অযুহাতে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন এবং শিক্ষক শাহাদত হোসেনকে অযোগ্য প্রমান করতে ঠুনকো অযুহাতে শোকজ করার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া প্রায় ১০ মাসের বেতন বন্ধ রাখেন।এরই মধ্যে গত ১৮ অক্টোবর ফাউন্ডেশনের জিসি (সাধারণ কেয়ারটেকার) আবু বক্কর সিদ্দিক কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সুপারভাইজার আবু মুসার নামে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দিলে বেতন-ভাতা বন্ধ ও কেন্দ্র বাতিল করার হুমকি দেন।এসময় পরিদর্শণ বহিতে স্বাক্ষর করার সময় একজন সাংবাদিকের স্বাক্ষর দেখে জিসি সিদ্দিক বিষয়টি সুপার ভাইজারকে জানায়। এরপর সুপার ভাইজার শিক্ষককে কেন্দ্রের সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে অফিসে দেখা করতে বলেন। গত বুধবার শিক্ষক শাহাদত হোসেন কাগজপত্র নিয়ে অফিসে গেলে সাংবাদিকের স্বাক্ষর দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে খাতাপত্র,শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রার ও পরিদর্শণ বহি কেরে নিয়ে শিক্ষককে চাকুরী নেই জানিয়ে চলে যেতে বলেন।এঘটনার সুষ্ঠু বিচার পেতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিক্ষক শাহাদত হোসেন।
এব্যাপারে শিক্ষক শাহাদত হোসেন বলেন,সুপার ভাইজার আবু মুসা আমাকে প্রতিনিয়ত চাকুরী ছেরে দেয়ার কথা বলতেন।চাকুরী ছেরে না দেয়ায় বিভিন্ন ভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন।এছাড়া ১০মাসের বেতন বন্ধ রেখেছিলেন। তিনি জিসি সিদ্দিকের মাধ্যমে আমার নিকট ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। টাকা না দেয়ায় পরিদর্শণ বহিতে সাংবাদিকের স্বাক্ষর কেন এই অযুহাতে সমস্ত কাগজপত্র কেরে নিয়ে চাকুরী নেই বলে তারিয়ে দিয়েছেন। আমি এঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
জিসি আবু বক্কর সিদ্দিক টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে মাত্র দুইজন শিক্ষার্থী পেয়েছি। কিন্তু শিক্ষক শাহাদত হোসেন পরিদর্শন বহিতে ৩২জন শিক্ষার্থী উপস্থিতী দেখাতে বলেন। সেটা না করায় আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যে অভিযোগ করেছেন।
সুপার ভাইজার আবু মুসা দায়েরকৃত অভিযোগ সম্পন্ন ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন,শিক্ষক শাহাদত হোসেনের গাফিলতির কারণে এর আগে বেতন বন্ধ করা হয়েছিল। পরে কেন্দ্র সুষ্ঠুমতো চালাবেন এমন মুচ লেখা দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও বার বার সর্তক করেও কোন ফল হচ্ছেনা। তবে কেন্দ্র বাতিল বা তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়নি। শুধুমাত্র কাগজপত্র নেয়া হয়েছে।
ইউএনও’র পেশকার আবু রায়হান বলেন,শিক্ষক শাহাদত হোসেন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও স্যার ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। ট্রেনিং থেকে আসলে স্যারের নিকট দায়েরকৃত অভিযোগ পৌছানো হবে।