রাজশাহীর পুঠিয়ায় গণস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সমগ্র দেশের নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের ১৮টি সাব মারসেবুল পাম্প স্থাপনের নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাসাসীরা। জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৮টি স্থানে,গণস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর আওতাধীন সমগ্র দেশের নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ চলছে। পুঠিয়া ইউনিয়নে২টি,ভালুকগাছি ২টি,জিউপাড়া ৩টি,শিলমাড়িয়া ৫টি,বানেশ্বর ৩টি,বেলপুকুর-৩টি। একটি সাব মাসসেবুল পাম্পে জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ টাকা করে। কাজগুলো করছে,সারা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সমগ্র দেশের নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের বানেশ্বর ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের হাবিব,সিদ্দিক নামের ব্যক্তিরাদের অভিযোগ, আমাদের এখানে গণস্বাস্থ্য অফিসের পাম্প স্থাপনের কাজ চলছে, তা খুবই নিম্নমানের ইটের খোয়া বালি সিমেন্ট দিয়ে। যেহেতু ইটের খোয়া বালি সিমেন্টের নিম্নমারে ব্যবহার করছে,এখানে পাম্পসহ অন্য অন্য সামগ্রীগুলো নিম্নমানের হওয়াটায় স্বাভাবিক। আমরা গণস্বাস্থ্যের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বারবার বলার পরও, ঠিকাদারে লোকজন তড়িঘড়ি করে কাজ করছে। বানেশ্বর খুটিপাড়া, নয়াপাড়াসহ ১৮টি সাবমারসেবুল পাম্প স্থাপন এলাকা হতে কাজের মান নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। কোথাও কোথাও এলাকাবাসীরা কাজের মান নিয়ে চাপ দিয়ে কিংবা কথা বললে,ঠিকাদারে লোকজন কাজ রেখে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ঠিকাদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা এবং ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের যোগসাজশ থাকার কারণে,পাম্প স্থাপনের কাজগুলি নিম্নমানের হচ্ছে। দেখা গেছে, অনিয়ম গাফিলতি করে যেভাবে কাজগুলো করা হচ্ছে,তাতে করে আগামী দুই/এক বছরের মধ্যে সাবমারসেবুর স্থাপন করা পাম্পগুলি, এলাকার সাধারণ মানুষরা নিরাপদ পানি পান করতে পাড়বে না এবং দ্রুত পাম্পগুলি অকেজো হয়ে পড়ে থাকবে। উপজেলার ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতাকর্মীদের অভিযোগ, উপজেলা পরিষদ পাম্পগুলি তাদেরই দিয়েছেন। যেখানে স্থানীয় নেতাদের ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের স্বার্থরক্ষা হয়েছে। কিন্তু যাদের বেশিরভাগ নিরাপদ পানির প্রায়োজন তাদের দেওয়া হয়নি। তারপর আবার, উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তর সঙ্গে যাদের সুসর্ম্পক তাদের দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সারা ইন্টারন্যাশনালের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক এম ডি সালাউদ্দিন বলেন, এলাকা হতে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে,এটা ঠিক না। এখন খুব ভালো মানের ইট পাওয়া যাচ্ছে না। ভালো ইটের অপেক্ষায় থাকলে, কাজগুলি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা গণস্বাস্থ্য প্রকৌশলের কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের এলাকায় কোনো রকম গাফিলতির অভিযোগ পেলে, সঙ্গে সঙ্গে পাম্প স্থাপন এলাকায় গিয়ে, আমারা ঠিকাদারের নিকট সঠিকভাবে কাজ বুঝিয়ে নিচ্ছি।