সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা ভাগ করে নিলেন উপজেলার একাধিক পদ। এতে করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ওই নেতাদের কর্মকা-ে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে পড়েছে। শনিবার সকালে কলারোয়ার এক শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান-আরে আগে মানুষ নেতাদের কাছে আসতো বিপাদে পড়ে ও ভাল পরামর্শ নিতে এখন আর তারা আসে না। এখন পরামর্শ নিতে আসলে সব শুনে বুঝে ব্যবসা করে আর উল্টো বিপাদে ফেলে। এ ছাড়া কলারোয়ার দুই নেতা সব পদ দখল করে রেখেছে। বলতে গেলে-ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি। তিনি পৌরসভায় বাড়ী করেছেন। গ্রামের বাড়ী কেরালকাতা ইউনিয়নের হুলহুলিয়ায়। তিনি উপজেলা আ.লীগের সভাপতির পদ পেয়ে সভাপতি হলেন-শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ, সোনার বাংলা কলেজ, কাজিরহাট কলেজ এর। তার আপন সালক বদরুজ্জামান বিপ্লব কে চাকরি দিলেন কলারোয়ার একমাত্র নারী বিদ্যালয় “গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে। আরেক সালক মনিরুজ্জামান বুলবুলকে বানালেন পৌরসভার মেয়র। তিনি অবশ্যই কয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অপরদিকে আমিনুল ইসলাম লাল্টু হলেন-উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান। তিনি জেলা আ.লীগের সদস্য পদে রয়েছেন। তিনি দখলে রেখেছেন কলারোয়া গরু হাট। তার আপন ভাই আলিমুর রহমান হলেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পদক, কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, মুরারীকাটি হাইস্কুলের সভাপতি, তার আরেক ভাই আজিজুল ইসলাম হলেন-পৌর আ.লীগের সভাপতি ও কলারোয়া বাজার কাছারিপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক। আরেক ভাই মোসার্স আলিফ আরশ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী নাদিয়া নুরুল নিশাত, আসাদুর রহমান আসাদ কলারোয়া ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির বড় নেতা। আসাদ কলারোয়ার সকল রাস্তায় ঠিকাদারী কাজ করেন। বর্তমানে কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে যে সকল পদ সৃষ্টি হয়ে আসে সে গুলোও তারা নিতে পারলে ভাল হতো এমনটি তাদের আচার আচারণ। সম্প্রতি এই উপজেলায় চলছে লক্ষ লক্ষ টাকায় স্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজে নিয়োগ বানিজ্য। এই নেতারা কলারোয়ায় বসে বসে এগুলোরও নিয়ন্ত্রন করেন বলে দমদম বিদ্যালয়ের এক সভাপতি জানালেন।