কালীগঞ্জ হাইওয়ে থানায় ওসি মঞ্জুরুল আলম যোগদানের পর থেকে মোটা অংকের মাসিক চাদার বিনিময়ে কালীগঞ্জ,বারবাজার,বারীনগর, চুড়ামনকাঠি এলাকার ইজিবাইক, মাহেন্দ্র সিএনজি,লেগুনা,আলমসাধু, নসিমনসহ সব ধরনের থ্রী হুইলার যান দেদারচে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে মহাসড়কে একদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে হাইওয়ে থানা পুলিশের পকেট ভারি হচ্ছে। বারবাজার স্ট্যান্ডের ইজিবাইক মাহেন্দ্র সিএনজি ও লেগুনা স্ট্যান্ডের যশোর অভিমুখ মহাসড়কের হাইওয়ে থানার চাঁদার টাকা তোলেন এক ব্যাক্তি। বারবাজার থেকে কালিগঞ্জ অভিমুখে থ্রী হুইলারের মহাসড়কের টাকা তোলেন বাবলুর রহমান।এরা সবাই হাইওয়ে থানার ওসির সাথে মাসিক চুক্তিতে চাদা দেন, যাতে করে মহাসড়কে চলাচলের সময় কোন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়। ওসি মঞ্জুরুল আলম থানায়যোগদানের পরপরই বারোবাজার এলাকার আলমসাধুর (গাছটানা গাড়ি) ড্রাইভারদেরকে ডেকে মহাসড়কে চলাচলের জন্য মাসিক চাদার ব্যাপারে রফাদফা করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ইজিবাইক চালক আবুল হোসেন জানান, আমি যশোরে রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় বারবাজার হাইওয়ে পুলিশ আমার গাড়ি ধরে। এ সময় বারবাজার ও কালীগঞ্জের বেশ কয়েকটা ইজিবাইক ও সিএনজি ধরেও তাদের ছেড়ে দেয়। এর মানে হলো চুক্তির বাইরে যেসব থ্রী হুইলার গাড়ি মহাসড়কে চলে হাইওয়ে পুলিশ তাদের ধরে মামলাও দেয়,আবার হয়রানি করে টাকাও নেয়।
এ ব্যাপারে বারোবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল আলম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যেসব স্টাটারের নাম উল্লেখ করলেন তাদের আমি চিনিও না। থ্রী হুইলার যান মহাসড়কে যেভাবে চলছে সেটা আপনিও জানেন আমিও জানি। আমরা নিয়মিত এইসব অবৈধ যান ধরছি ও মামলা দিচ্ছি। দেশের মহাসড়কে থ্রিহুইলার যান চলাচল থেকে বিরত রাখতে আদেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।