বগুড়া সারিয়াকান্দিতে মরহুম সাংসদ আবদুল মান্নানের ছবি ভাংচুর ও পরে পদদলিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগ অভিযুক্ত নেতা কে শো-কোজ করার পর সন্তোশ জনক উত্তর না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা যুবলীগের কাছে শুপারিশ করা হয়েছে। অভিযুক্ত নেতার নাম মবিন উল- আজিম টিটো। সে উপজেলা যুবলীগের সহ- সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। এ নিয়ে যুবলীগে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী যুবলীগের কর্মীরা জানান, ২৭ নভেম্বর সারিয়াকান্দি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা হলরুমে উপজেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অভিযোগ তোলা হয়, উপজেলা যুভলীগের সহ- সভাপতি মবিন উল- আজিম টিটো ওই দিনে মবিন উল আজিম টিটো উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে লটকানো ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কেন্দীয় কমেটির সাবেব সাংগাঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া ১ আসনের সাংসদ প্রয়াত আবদুল মান্নানের ছবি। এক সভায় আলোচনার একপর্যায়ে জোড় পূর্বক আবদুল মান্নানের ছবি টেনে হেঁচরে নামান এবং তা ভাংচুরের পর পদদলিত করার পর বাইরে রক্ষিত ডাস্টবিনে ফেলে দেন। এ ঘটনায় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হতবিহব্বল-হতবাক হয়ে পরেন। পরে উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে তাকে শো-কোজ করা হয় এবং উপজেল যুবলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান রুবেল, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসেদুল ইসলাম মুনু ও আবিদা সুলতানা রনিকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৭ দিনের মধ্যে কমিটিকে উপজেলা যুবলীগের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আয়ুব আলী তরফদার ও সাধারন সম্পাদক আসিক আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন,ঘটনাটিতো সে সবার সামনে ঘটিয়েছেন। টিটো শো-কোজের উত্তর দিয়েছেন. কিন্তু আমাদের কাছে তা সন্তোশ জনক মনে হয়নি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা যুবলীগকে আমরা অনুরোধ করেছি।