দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে স্থায়ী কবর ক্ষতি করে কবরস্থানের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
সোমবার (১২ডিসম্বের) সকাল ১১ টায় দক্ষিণ বাসুদেবপুর, নুরপুর ও দাদপুর তিন গ্রামবাসীর উদ্যোগে উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর কবরস্থানের পাশে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
করবস্থান রক্ষার্থে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক মঞ্জিল মোরশেদ, আবদুর রহমান, বাবলু মিয়া, মো. আজিম, আজগর আলী, মিজানুর রহমান, মজিদ ম-ল প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে দক্ষিণ বাসুদেবপুর, নুরপুর ও দাদপুর তিন গ্রামবাসীর প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী অংশ নেন।
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে দুপুর ১টায় ওই তিন গ্রামের প্রায় সহ¯্রাধিক এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পেশ করা হয়।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে সহকারী অধ্যাপক মঞ্জিল মোরশেদ ও আবদুর রহমান বলেন, কবরস্থানটি বাপদাদার আমল থেকে এলাকার মানুষ ব্যবহার করা হচ্ছে। কবরস্থানের জমির মালিকের মৌন সম্মতি ছিল শতবছর থেকে সেখানে এলাকাবাসী কবর দিয়ে আসছে। কিন্তু এখন মোশারফ হোসেন মশাসহ স্বার্থান্বেষী মহল সম্পত্তির লোভে কবরস্থান কেটে পুকুর ভরাট করছে। এলাকাবাসীর দাবি জমিটি যেনো কবরস্থান হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করা হয়। যাতে ভবিষ্যতেও সেখানে মৃত ব্যক্তিদের কবর দেয়া যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্তি মোশাররফ হোসেন মশা বলেন, আমাদের জোতের জমি সেটি। সেখানে এলাকাবাসী কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। কবরস্থানের জায়গা ছেড়ে যেটুকু জায়গা আছে সেই জায়গাটুকু কেটে সেখানকার মাটি দিয়ে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। ইউএনও কিংবা ওসি যদি এ বিষয় নিয়ে ডাকেন তবে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে দেখাবেন জায়গার মালিক তারা।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। আইন অনুযায়ী কবরস্থান এবং শ্মশানের জায়গা কেউ নিজস্ব বলে দাবি করতে পারবে না। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে তহশীলদারকে পাঠানো হয়েছে। তহশীলদারের রিপোর্ট পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।