মামলা পরিচালনার খরচ না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার কক্ষে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব হাওলাদার জানান, তার মরহুম পিতা ফজলে করিম হাওলাদার বাটাজোর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ২০ শতক জমি দান করে গেছেন। কিন্তু ২০ শতক জমিরস্থলে ৩৪ শতক জমি হাসপাতালের নামে রেকর্ড হয়েছে। যা নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) মাকসুদা বেগম বলেন, বাটাজোর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা খরচ বহনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ আমাদের ওপর চাঁপ প্রয়োগ করে আসছে। সোমবার অফিসের বাহিরে ফিল্ডে ছিলাম। দুপুরে অফিসে এসে দেখি আমার রুম তালাবদ্ধ। পরবর্তীতে জানতে পারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তালাবদ্ধ করে গেছেন।
হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ নিজামুল ইসলাম জানান, কি কারণে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার কক্ষ তালাবদ্ধ করা হয়েছিলো তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান জানান, একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। যা সমাধান করা হয়েছে। তবে মামলা খরচের জন্য অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ করা যায় কিনা? জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
উল্লেখ, এরপূর্বেও হাসপাতালের পথ্য সরবরাহকারী আহাদ মিয়া রাসেলের কাছে বিলের ১০% দাবী করার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি অভিযোগটি অস্বীকার করেছিলেন।