খুলনার পাইকগাছায় পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকায় ৬টি ইট ভাটায় ৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। খুলনা অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফুর রহমান রোববার দিনভোর এ অভিযান চালান। এ সময় উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের আল্লাহর দান ব্রিক্স এর মালিক আবদুল জলিলকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার, সামিনা ব্রিক্স মালিক সিরাজুল ইসলামকে ১ লক্ষ, বিবিএম ব্রিক্স মালিক আবদুল মান্নানকে ১ লক্ষ, এমএস ব্রিক্স মালিক মুনছুর আলী গাজীকে ১ লক্ষ, সরদার ব্রিক্স মালিক চাঁদখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহাজাদা আবু ইলিয়াসকে ১ লক্ষ ও গদাইপুর ইউনিয়নের পুরাইকাটি ফাইব ষ্টার ব্রিক্স এর মালিক সরদার মুজিবুর রহমানের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো আসিফুর রহমান বলেন, পরিবেশের ছাড় পত্র ছাড়ায় অবৈধভাবে ইট ভাঁটা পরিচালনার করায় মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন যারা লোকায়ে ও কৃষি জমিতে ইট ভাঁটা করেছে তাদেরকে পরিবেশের ছাড়পত্র দেয়া হবে না। তাদের ইট ভাটার স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেছি। তারা যদি সরিয়ে না নেয় তাহলে পরবর্তিতে ভেঙ্গে দেয়া হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস দল, পুলিশ ও আনসার সদ্য বৃন্দ। পরিবেশ দূর্ষনসহ বৃক্ষরাজী ধ্বংস করছে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নে প্রায় একশত চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে বানানো হচ্ছে কয়লা। পরিবেশ অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চাঁদখালীতে গত সেপ্টম্বর ৫টি কয়লার চুল্লী ধ্বংস করেন। এসময়ে স্কেভেটর দিয়ে ৫টি চুল্লী ধ্বংস করা হয়। চুল্লীগুলো বন্ধ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। মানবিক কারণে ১ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ ও অপসারণ করার শর্তে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা ইলিয়াস মুচলিকা দেওয়ায় কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নেন। এক মাসের পরিবর্তে ৪ মাস সময় অতিবাহিত হলেও চুল্লী বন্ধ না করে উল্টো পুরোদমে চলছে। উল্লেখ্য, একটি চুল্লিতে প্রতিবার ২০০ থেকে ৩০০ মন পর্যন্ত কাঠ পোড়ানো হয়। প্রতিবার কমপক্ষে ২৫ হাজার মন কাঠ পোড়ানো হয়। প্রতিমাসে প্রত্যেকটি চুল্লিতে ৩ থেকে চারবার কাঠ পুড়িয়ে কয়লা করা হয়। ফলে প্রতিমাসে কয়লার চুল্লিতে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ মন কাঠ পোড়ানো হয়। ফলে ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিসহ সামাজিক বন। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের। বিষাক্ত ধোঁয়ায় এলাকায় বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, প্রকৃতি ধ্বংসসহ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও অদৃশ্য কারণে কর্তৃপক্ষ্য নিরব।